নিউটাউনের পর,সল্টলেকের নিরাপত্তা মজবুত করতে আবাসিক-পুলিশের সমন্বয় বৈঠক
- আপডেট : ২৭ জুন ২০২১, রবিবার
- / 0
ফারুক আলম: স্যাটেলাইট নিউটাউন শহরের পর, অভিজাত সল্টলেক উপনগরীর নিরাপত্তা আরও মজবুত করতে তৎপর বিধাননগর পুলিশ। অভিজাত শহরের নিরাপত্তার সচেতনতা বৃদ্ধিতে রবিবার আবাসিকদের নিয়ে সমন্বয় বৈঠক করল পুলিশ। আবাসন কমিটির প্রতিনিধি ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পুরনিগমের কর্তারা। এদিন পুর বোর্ডের মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বি জে ব্লক কমিউনিটি হলে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় পুলিশের ‘সচেতনতা’ বৈঠক। আগামী পর্যায়ক্রমে সল্টলেকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়েও সমন্বয় বৈঠক করবে পুলিশ। তবে, এদিনের বৈঠকের দিন দুয়েক আগে নিউটাউন উপনগরীর নিরাপত্তা জোরদার করতে শহরের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে একই সমন্বয় বৈঠক করেছে পুলিশ।
এদিন অভিজাত সল্টলেক উপনগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সুরক্ষিত করে তুলতে সংশ্লিষ্ট ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসন কমিটি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় মূলত আবাসিকদের আরও সজাগ হওয়ার দাওয়াই দিলেন তিনি। বললেন, ‘সল্টলেকের বিভিন্ন পেয়িং গেস্ট, অথিতিশালায় পুলিশের নজরদারি বেড়েছে। তবে, বাসিন্দাদের সহযোগিতা ছাড়া উপনগরীর সুরক্ষা বিধি জোরদার করা সম্ভব নয়। সেজন্য হোটেল, পেয়িং গেস্ট, বাড়ি ভাড়াটিয়াদের নথিপত্র পুলিশের কাছে জমা করতে বলা হয়েছে মালিকপক্ষকে’। এদিকে ভাড়াটিয়াদের নির্দিষ্ট তথ্য হাতে রাখতে ভাড়াটিয়া আবেদন পত্র প্রকাশ করেছে পুলিশ। সেই আবেদন পত্র ব্লক কমিটির কাছে পৌঁছাবে পুলিশ। বৈঠক শেষে বিধাননগরের মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘অপরাধমূলক বিভিন্ন ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার পর, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় বাসিন্দাদের আরও সচেতন করতে নিজের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে সল্টলেক অংশের আরও ১৪ টি ওয়ার্ডে একই সচেতনতা প্রচার চলবে’।
অপরদিকে, সম্প্রতি নিউটাউন শাপুরজি আবাসনের ভরদুপুরে শ্যুট আউট কান্ডের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এলাকার নিরাপত্তা বিষয়ে নড়েচড়ে বসে বিধাননগর পুলিশ। ওই শ্যুট কান্ডে অভিজাত সল্টলেকের নামও জড়িয়ে পড়ে। তদন্তে উঠে আসে, অপরাধীদের সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে আনাগোনা ছিল। এছাড়াও সল্টলেকে বহু প্রবীণ নাগরিকদের বসবাস রয়েছে। কিন্তু অনেকের পরিজনেরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। এহেন প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত এবং উপনগরীতে অপরাধ দমনের লক্ষ্যে সঙ্গে বাসিন্দাদের নিবিড় সমন্বয় স্থাপন করতে চাইছে কমিশনারেট পুলিশ।