১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনন্দে কাঁদলেন চানুর মা বাবা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২১, রবিবার
  • / 0

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক­  মনিপুরের ছোট্ট গ্রামে তখন খুশির হাওয়া। কারণ সেই ছোট্ট এলাকার মেয়ে মীরাবাই চানু ভারোত্তোলনে দ্বিতীয় হয়ে রুপো জিতে নিয়েছেন। তাঁর এটি প্রথম অলিম্পিক। উৎকণ্ঠায় দিন কাটিয়েছে চানুর পরিবার। কাঁদতে কাঁদতে চানুর মা তোম্বি লিমা জানালেন– ‘ও যখন পদক জিতল– সেই মুহূর্তটা এতটাই আবেগের ছিল– যে আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। ওর বাবাও কেঁদে ফেলেছেন আনন্দে। চানুরা ছয় ভাইবোন। প্রত্যেকেই টিভির সামনে বসে চানুর ইভেন্ট দেখেছেন। চানুর মা বলছেন– ‘ও আমাদের বলে গিয়েছিল সোনা জিতবে– তা না হলেও অন্তত একটা পদক অলিম্পিক থেকে আনবেই। আমরা তাই সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি। আমাদের দূরের আত্মীয়রাও গত রাতে এখানে এসেছে। তারা সারারাত আমাদের সঙ্গে কাটিয়েছে। অনেকে আবার সকালেও এসেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও অনেকেই এসেছিলেন। তাই বারান্দাতেই টিভির সেটটা নিয়ে এসেছিলাম। প্রায় পঞ্চাশজন সেই টিভির সামনে বসে চানুর ইভেন্ট দেখেছে। এটা আমাদের কাছে ছিল উৎসবের মতো।’ চানুর মায়ের কথায়– ‘অনেক সাংবাদিকও এসেছিলেন । এমন ঘটনা আমরা কোনওদিন প্রত্যাশাও করিনি।’ ট্রেনিংয়ের সময় বাড়িতেও যে চানু খুব একটা আসতে পারেন না সেটাও জানালেন চানুর মা। চানুর মায়ের কথায়– ‘ও শুধু আমাদের বলে গিয়েছিল– আমার জন্য প্রার্থনা কর– যাতে দেশের জন্য পদক আনতে পারি। এটা সত্যিই আমাদের কাছে হদৃয় ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্ত।’ 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আনন্দে কাঁদলেন চানুর মা বাবা

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২১, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক­  মনিপুরের ছোট্ট গ্রামে তখন খুশির হাওয়া। কারণ সেই ছোট্ট এলাকার মেয়ে মীরাবাই চানু ভারোত্তোলনে দ্বিতীয় হয়ে রুপো জিতে নিয়েছেন। তাঁর এটি প্রথম অলিম্পিক। উৎকণ্ঠায় দিন কাটিয়েছে চানুর পরিবার। কাঁদতে কাঁদতে চানুর মা তোম্বি লিমা জানালেন– ‘ও যখন পদক জিতল– সেই মুহূর্তটা এতটাই আবেগের ছিল– যে আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। ওর বাবাও কেঁদে ফেলেছেন আনন্দে। চানুরা ছয় ভাইবোন। প্রত্যেকেই টিভির সামনে বসে চানুর ইভেন্ট দেখেছেন। চানুর মা বলছেন– ‘ও আমাদের বলে গিয়েছিল সোনা জিতবে– তা না হলেও অন্তত একটা পদক অলিম্পিক থেকে আনবেই। আমরা তাই সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি। আমাদের দূরের আত্মীয়রাও গত রাতে এখানে এসেছে। তারা সারারাত আমাদের সঙ্গে কাটিয়েছে। অনেকে আবার সকালেও এসেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও অনেকেই এসেছিলেন। তাই বারান্দাতেই টিভির সেটটা নিয়ে এসেছিলাম। প্রায় পঞ্চাশজন সেই টিভির সামনে বসে চানুর ইভেন্ট দেখেছে। এটা আমাদের কাছে ছিল উৎসবের মতো।’ চানুর মায়ের কথায়– ‘অনেক সাংবাদিকও এসেছিলেন । এমন ঘটনা আমরা কোনওদিন প্রত্যাশাও করিনি।’ ট্রেনিংয়ের সময় বাড়িতেও যে চানু খুব একটা আসতে পারেন না সেটাও জানালেন চানুর মা। চানুর মায়ের কথায়– ‘ও শুধু আমাদের বলে গিয়েছিল– আমার জন্য প্রার্থনা কর– যাতে দেশের জন্য পদক আনতে পারি। এটা সত্যিই আমাদের কাছে হদৃয় ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্ত।’