১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যথাবিহিত বিধি মেনে পালিত হল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৫ জুন ২০২১, শুক্রবার
  • / 0

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ যথারীতি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা বিধি মেনেই, আয়োজিত হয় জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা। জগন্নাথ দেবের এই স্নান যাত্রার এই দিন কে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা যায়। রথযাত্রার ১৫ দিন আগে হয় স্নান যাত্রা।কোভিড সংক্রমণের ফলে হয়তো ভক্তদের সমাগম নেই, তবে যথেষ্ট নিষ্ঠা সহকারেই দেশের বিভিন্ন অংশে পালিত বৃহস্পতিবার পালিত হল এই স্নান যাত্রা।

যেমন, মায়াপুর ইসকন মন্দিরে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার স্নানপূর্ণিমার সময়, তিথি
২৪ জুন পড়েছে পূর্ণিমা। এটি ছাড়বে ২৫ জুন রাত ১২:০৯ মিনিটে। পুরী, মায়াপুরের পাশাপাশি কলকাতার আ্যালবার্ট রোডে ইস্কন মন্দিরেও কোভিড প্রটোকল মেনে আয়োজিত হয় স্নানযাত্রার।

জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার সময়ক্ষণের মধ্যে প্রথম পর্ব মঙ্গলপর্ণা। যার সময় রাত ১ টাতেই শুরু হয়েছে। হরিবেশ ১১ টা থেকে শুরু হয়। এরপর বহুদা পাহাড়ি চলে বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৮ টা পর্যন্ত।এদিকে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা বা দেবাস্নান পূর্ণিমার এই বিশেষ তিথিতে এই স্নানযাত্রা ঘিরে এদিন পুরীতে কোভিড বিধি কড়াভাবে পালিত হচ্ছে।

এই তিথির উদ্দেশ্য হিসাবে বলা হয় যে,এই তিথিই হল শ্রীজগন্নাথ দেবের জন্মতিথি। এমন দিনে পৃথিবীতে জগন্নাথ দেব আবির্ভাব করেছিলেন বলে ধরা হয়। সেই তিথি উপলক্ষ্যে এদিন জগন্নাথদেবের বিশেষ স্নানপর্ব পালিত হয়। এই তিথি অনুযায়ীই বিভিন্ন রীতিনীতি পালিত হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১০৮ ঘড়া জলের স্নানের রীতি

পুরাণ মতে ঘড়া ঘড়া জল ঢেলে স্নান করানোর ফলে জ্বর আসে প্রভু জগন্নাথের। তখন তাঁকে পাচন খেতে হয়। দেওয়া হয় মিছরির সরবত,মাখন।
এরপর জ্বর সারলে আসে সেই বহু কাঙ্ক্ষিত রথযাত্রা। রথে চেপে তিন ভাইবোন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা যান মাসির বাড়ি। সেখানে সাতদিন অবস্থান করে উল্টোরথে আবারও নিজের বাড়ি আসেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যথাবিহিত বিধি মেনে পালিত হল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা

আপডেট : ২৫ জুন ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ যথারীতি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা বিধি মেনেই, আয়োজিত হয় জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা। জগন্নাথ দেবের এই স্নান যাত্রার এই দিন কে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা যায়। রথযাত্রার ১৫ দিন আগে হয় স্নান যাত্রা।কোভিড সংক্রমণের ফলে হয়তো ভক্তদের সমাগম নেই, তবে যথেষ্ট নিষ্ঠা সহকারেই দেশের বিভিন্ন অংশে পালিত বৃহস্পতিবার পালিত হল এই স্নান যাত্রা।

যেমন, মায়াপুর ইসকন মন্দিরে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার স্নানপূর্ণিমার সময়, তিথি
২৪ জুন পড়েছে পূর্ণিমা। এটি ছাড়বে ২৫ জুন রাত ১২:০৯ মিনিটে। পুরী, মায়াপুরের পাশাপাশি কলকাতার আ্যালবার্ট রোডে ইস্কন মন্দিরেও কোভিড প্রটোকল মেনে আয়োজিত হয় স্নানযাত্রার।

জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার সময়ক্ষণের মধ্যে প্রথম পর্ব মঙ্গলপর্ণা। যার সময় রাত ১ টাতেই শুরু হয়েছে। হরিবেশ ১১ টা থেকে শুরু হয়। এরপর বহুদা পাহাড়ি চলে বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৮ টা পর্যন্ত।এদিকে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা বা দেবাস্নান পূর্ণিমার এই বিশেষ তিথিতে এই স্নানযাত্রা ঘিরে এদিন পুরীতে কোভিড বিধি কড়াভাবে পালিত হচ্ছে।

এই তিথির উদ্দেশ্য হিসাবে বলা হয় যে,এই তিথিই হল শ্রীজগন্নাথ দেবের জন্মতিথি। এমন দিনে পৃথিবীতে জগন্নাথ দেব আবির্ভাব করেছিলেন বলে ধরা হয়। সেই তিথি উপলক্ষ্যে এদিন জগন্নাথদেবের বিশেষ স্নানপর্ব পালিত হয়। এই তিথি অনুযায়ীই বিভিন্ন রীতিনীতি পালিত হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১০৮ ঘড়া জলের স্নানের রীতি

পুরাণ মতে ঘড়া ঘড়া জল ঢেলে স্নান করানোর ফলে জ্বর আসে প্রভু জগন্নাথের। তখন তাঁকে পাচন খেতে হয়। দেওয়া হয় মিছরির সরবত,মাখন।
এরপর জ্বর সারলে আসে সেই বহু কাঙ্ক্ষিত রথযাত্রা। রথে চেপে তিন ভাইবোন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা যান মাসির বাড়ি। সেখানে সাতদিন অবস্থান করে উল্টোরথে আবারও নিজের বাড়ি আসেন।