১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্ষুব্ধ কৃষকদের হাতে ‘আটক’ বিজেপি নেতারা, অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে মিলল মুক্তি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, সোমবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাতিয়ালার রাজপুরার একটি বাড়িতে প্রায় এক ডজন বিজেপি নেতাকে ‘আটকে’ রেখেছিল বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। রবিবার একদল আন্দোলনরত কৃষক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করেন। সেখানে ছিলেন বিজেপির পাঞ্জাব ইউনিটের সেক্রেটারি সুভাষ শর্মা, পাতিয়ালার ভারপ্রাপ্ত নেতা ভূপেশ আগরওয়াল সহ বহু নেতা। আইনজীবীর মাধ্যমে বিজেপি নেতারা পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করে জানান যে, একদল জনতা অবৈধভাবে রাজপুরার বাড়িতে আটকে রেখেছে বিজেপি নেতাদের।

রবিবার রাতে হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেয় তাঁদের নিরাপদে বের করে আনার এবং বিজেপি কর্মীদের যাতে ক্ষতি না হয় কোনওরকম, সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি সোমবার বেলা ২টার মধ্যে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। পাতিয়ালা পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট জসবিন্দর সিং জানিয়েছেন যে, সোমবার ভোর ৪টার সময় বিজেপি কর্মীদের বের করে আনা হয়। আন্দোলনরত কৃষকদের উপর বেত্রাঘাত করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, আগে বিজেপির জেলা স্তরের একটি সভা ভণ্ডুল করে দেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। তারপর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জড়ো হন এই দলের সমর্থকরা। পাঞ্জাব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ শর্মার অভিযোগ,  কৃষকরা বিদ্যুৎ সাপ্লাই বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। বিজেপি নেতাদের ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও তোলেন তিনি। শর্মা দাবি করেন,  পুলিশ যখন তাঁদের উদ্ধার করে আনছিল তখন ইট ছোড়েন কৃষকরা। তাঁরা এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, কৃষকদের বক্তব্য, বিজেপি নেতারা তাঁদের কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন এবং বিজেপি নেতা ভূপেশের নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের দিকে বন্দুক তুলে ধরেন। কৃষকদের দাবি, বিজেপিকে ক্ষমা চাইতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিক্ষুব্ধ কৃষকদের হাতে ‘আটক’ বিজেপি নেতারা, অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে মিলল মুক্তি

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাতিয়ালার রাজপুরার একটি বাড়িতে প্রায় এক ডজন বিজেপি নেতাকে ‘আটকে’ রেখেছিল বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। রবিবার একদল আন্দোলনরত কৃষক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করেন। সেখানে ছিলেন বিজেপির পাঞ্জাব ইউনিটের সেক্রেটারি সুভাষ শর্মা, পাতিয়ালার ভারপ্রাপ্ত নেতা ভূপেশ আগরওয়াল সহ বহু নেতা। আইনজীবীর মাধ্যমে বিজেপি নেতারা পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করে জানান যে, একদল জনতা অবৈধভাবে রাজপুরার বাড়িতে আটকে রেখেছে বিজেপি নেতাদের।

রবিবার রাতে হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেয় তাঁদের নিরাপদে বের করে আনার এবং বিজেপি কর্মীদের যাতে ক্ষতি না হয় কোনওরকম, সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি সোমবার বেলা ২টার মধ্যে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। পাতিয়ালা পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট জসবিন্দর সিং জানিয়েছেন যে, সোমবার ভোর ৪টার সময় বিজেপি কর্মীদের বের করে আনা হয়। আন্দোলনরত কৃষকদের উপর বেত্রাঘাত করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, আগে বিজেপির জেলা স্তরের একটি সভা ভণ্ডুল করে দেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। তারপর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জড়ো হন এই দলের সমর্থকরা। পাঞ্জাব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ শর্মার অভিযোগ,  কৃষকরা বিদ্যুৎ সাপ্লাই বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। বিজেপি নেতাদের ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও তোলেন তিনি। শর্মা দাবি করেন,  পুলিশ যখন তাঁদের উদ্ধার করে আনছিল তখন ইট ছোড়েন কৃষকরা। তাঁরা এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, কৃষকদের বক্তব্য, বিজেপি নেতারা তাঁদের কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন এবং বিজেপি নেতা ভূপেশের নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের দিকে বন্দুক তুলে ধরেন। কৃষকদের দাবি, বিজেপিকে ক্ষমা চাইতে হবে।