১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতিহাসে এই প্রথম, কানাডার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির আসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম জামাল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, শনিবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডার সরকার। দেশটির ১৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও অশ্বেতাঙ্গকে কানাডার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দেশে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হিসাবেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিচারপতির নাম মাহমুদ জামাল। জামালের বাবা ও মা দুজনেই ভারতীয়। তবে জামালের জন্ম হয়েছে নাইরোবিতে। পরে তিনি ব্রিটেনে চলে যান। সেখানেই পড়াশোনা করেন। এরপর ব্রিটেন থেকে কানাডায় যান জামাল। সেখানে বিখ্যাত দুই আইন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত ৩৫টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অংশ নিয়েছেন জামাল। তার এই নিয়োগকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। জানিয়েছেন, এ ভাবেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তার সরকার। তবে এখনও নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ধাপ বাকি আছে। কানাডার হাউস অফ কমন্স ট্রুডোর নিয়োগকে বৈধতা দেবে। তবে হাউস অফ কমনসের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, এটা নিছকই এক রীতি। নিয়োগ কোনও ভাবেই আর আটকাবে না। 

প্রসঙ্গত, কানাডায় প্রতি চার জনে একজন অশ্বেতাঙ্গ। কৃষ্ণাঙ্গ অথবা এশিয়ার মানুষ। অথচ এতদিন ধরে কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একজনও সংখ্যালঘু বর্ণের বিচারপতি ছিলেন না। বিষয়টি অনেক সময়ই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কানাডার নাগরিকরা। কিন্তু সমাধান হয়নি। এতদিন পরে সেই প্রতীক্ষিত পদক্ষেপ নেওয়া হল। এক বছর আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, বেড়ে চলা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সামাজিক সাম্য তৈরির চেষ্টা চালাবে তাঁর সরকার। জামালের নিয়োগ তারই অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিশ্লেষকমহল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইতিহাসে এই প্রথম, কানাডার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির আসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম জামাল

আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডার সরকার। দেশটির ১৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও অশ্বেতাঙ্গকে কানাডার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দেশে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হিসাবেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিচারপতির নাম মাহমুদ জামাল। জামালের বাবা ও মা দুজনেই ভারতীয়। তবে জামালের জন্ম হয়েছে নাইরোবিতে। পরে তিনি ব্রিটেনে চলে যান। সেখানেই পড়াশোনা করেন। এরপর ব্রিটেন থেকে কানাডায় যান জামাল। সেখানে বিখ্যাত দুই আইন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত ৩৫টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অংশ নিয়েছেন জামাল। তার এই নিয়োগকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। জানিয়েছেন, এ ভাবেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তার সরকার। তবে এখনও নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ধাপ বাকি আছে। কানাডার হাউস অফ কমন্স ট্রুডোর নিয়োগকে বৈধতা দেবে। তবে হাউস অফ কমনসের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, এটা নিছকই এক রীতি। নিয়োগ কোনও ভাবেই আর আটকাবে না। 

প্রসঙ্গত, কানাডায় প্রতি চার জনে একজন অশ্বেতাঙ্গ। কৃষ্ণাঙ্গ অথবা এশিয়ার মানুষ। অথচ এতদিন ধরে কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একজনও সংখ্যালঘু বর্ণের বিচারপতি ছিলেন না। বিষয়টি অনেক সময়ই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কানাডার নাগরিকরা। কিন্তু সমাধান হয়নি। এতদিন পরে সেই প্রতীক্ষিত পদক্ষেপ নেওয়া হল। এক বছর আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, বেড়ে চলা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সামাজিক সাম্য তৈরির চেষ্টা চালাবে তাঁর সরকার। জামালের নিয়োগ তারই অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিশ্লেষকমহল।