২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ইব্রাহিম রাইসি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, শনিবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নির্বাচনে দাঁড়ানো ৩ প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেইনির পছন্দের প্রার্থী ও দেশের প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি। ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে রাইসিকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামাল ওর্ফ। 

ইরানের ইতিহাসে ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে (৪৮.২৩ শতাংশ)।  তবে ৯০ শতাংশ গণনা শেষে দেখা যায়, প্রদত্ত ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ভোটের মধ্যে রাইসি একাই পেয়েছেন ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন মোহসিন রেজায়ি (৩৩ লক্ষ)। অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হেম্মাতি ও ঘাজিজাদেহ যথাক্রমে পেয়েছেন ২৪ লক্ষ ও ১০ লক্ষ ভোট। রাইসির প্রতিদ্বন্দ্বীরা অবশ্য ভোট গণনার প্রথমভাগেই নিজেদের হার স্বীকার করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেন।  নির্বাচনে সিংহভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভের পর ফোনে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর অভিনন্দন বার্তা পেতে থাকেন রাইসি। তাঁকে জয়ের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। 

রুহানি বলেন, ’আমি জনগণকে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার জন্য অভিবাদন জানাই।’ ইরানের গণতন্ত্রপন্থীদের বলয়ে রাইসির জনপ্রিয়তা কম থাকলেও সর্বোচ্চ নেতা খোমেনেইয়ের সমর্থকদের মধ্যে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।  নির্বাচনী প্রচারে ‘দুর্নীতি, ও অভিজাতদের’ ঘোর বিরোধী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা রাইসি রাজনৈতিক দিক থেকে কনজারভেটিভ বা রক্ষণশীল ঘরানার। তিনি দেশের গণতন্ত্রপন্থীদের পাশাপাশি আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বেরও কঠোর সমালোচক। তবে সম্প্রতি আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিলে পাশ্চাত্যের বিষয়ে খানিক সুর নরম করেছেন তিনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ইব্রাহিম রাইসি

আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নির্বাচনে দাঁড়ানো ৩ প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেইনির পছন্দের প্রার্থী ও দেশের প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি। ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে রাইসিকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামাল ওর্ফ। 

ইরানের ইতিহাসে ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে (৪৮.২৩ শতাংশ)।  তবে ৯০ শতাংশ গণনা শেষে দেখা যায়, প্রদত্ত ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ভোটের মধ্যে রাইসি একাই পেয়েছেন ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন মোহসিন রেজায়ি (৩৩ লক্ষ)। অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হেম্মাতি ও ঘাজিজাদেহ যথাক্রমে পেয়েছেন ২৪ লক্ষ ও ১০ লক্ষ ভোট। রাইসির প্রতিদ্বন্দ্বীরা অবশ্য ভোট গণনার প্রথমভাগেই নিজেদের হার স্বীকার করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেন।  নির্বাচনে সিংহভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভের পর ফোনে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর অভিনন্দন বার্তা পেতে থাকেন রাইসি। তাঁকে জয়ের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। 

রুহানি বলেন, ’আমি জনগণকে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার জন্য অভিবাদন জানাই।’ ইরানের গণতন্ত্রপন্থীদের বলয়ে রাইসির জনপ্রিয়তা কম থাকলেও সর্বোচ্চ নেতা খোমেনেইয়ের সমর্থকদের মধ্যে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।  নির্বাচনী প্রচারে ‘দুর্নীতি, ও অভিজাতদের’ ঘোর বিরোধী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা রাইসি রাজনৈতিক দিক থেকে কনজারভেটিভ বা রক্ষণশীল ঘরানার। তিনি দেশের গণতন্ত্রপন্থীদের পাশাপাশি আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বেরও কঠোর সমালোচক। তবে সম্প্রতি আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিলে পাশ্চাত্যের বিষয়ে খানিক সুর নরম করেছেন তিনি।