২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমযানে সীমান্ত বাণিজ্যের সময় বদল

Sumana Puber Kalom
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
  • / 0

রফতানি হচ্ছে প্রচুর ফল

এম এ হাকিম, বনগাঁ: রমযান মাস উপলক্ষে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি পণ্যের ট্রাক যাতায়াতের সময়সীমা পরিবর্তন হচ্ছে। একইসঙ্গে রমযান উপলক্ষে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর সংখ্যক বিভিন্ন ফলের ট্রাক যাচ্ছে বাংলাদেশে। বিশেষভাবে বিভিন্ন ফল, পিঁয়াজ, আদা, রসুন, শুকনো লঙ্কা ইত্যাদি রফতানি করা হচ্ছে। বর্তমানে সকাল ১০টা নাগাদ বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আমদানি পণ্যের ট্রাক আসা শুরু হয়। সেগুলো খালি করার কাজ চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত। কাজ বেশি হলে এই সময় আরও বেড়ে যায়, কিন্তু রমযান মাস উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ট্রাক আসবে বলে লোড-আনলোডের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা পেট্রাপোল মুটিয়া মজদুর শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘণ্টাখানেক বিরতির পর যদি কোনও ট্রাক আসে তাহলে স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা লোড-আনলোডের জন্য মাঠে থাকবে, অন্যথায় তারা চলে আসবেন।
এ দিকে, রমযান উপলক্ষে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রকার ফল যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘রমযান উপলক্ষে আঙুর, আপেল, কিসমিস এবং অন্যান্য ফলমূল-সহ ছোলা, মটর ইত্যাদি বেশি যাচ্ছে।’ পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি মীজানূর মণ্ডল জানান, ‘রমযান উপলক্ষে আগামী রবিবার থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এক্সপোর্ট সম্ভব হবে। রমযানে বাংলাদেশে বিশেষভাবে বিভিন্ন ফল, পিঁয়াজ, আদা, রসুন, শুকনো লঙ্কা ইত্যাদি রফতানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রচুর পরিমাণে ছোলা এক্সপোর্ট করা হয়েছে এবং এখনও যাচ্ছে।’ অন্যদিকে, ঈদের আগে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে তৈরি পোশাকের আমদানি বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীমহলের একাংশ মনে করছেন।
গত ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে পেট্রাপোল সীমান্তে মৈত্রী দ্বার ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পড়শি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া-র ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত বাণিজ্য, দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক তৈরিতে এলপিএআই প্রবেশপথ বলে মন্তব্য করেছিলেন অমিত শাহ।
প্রসঙ্গত, পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর হল দুই দেশের যোগাযোগের অন্যতম সীমান্ত। ভারতের দিকে পেট্রাপোল স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর। দুই দেশের বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপারের অন্যতম সীমান্ত পেট্রাপোল-বেনাপোল। ভারত বাংলাদেশের স্থলপথে যে বাণিজ্য হয়, তার ৭০ শতাংশ এই সীমান্ত দিয়ে হয়। আবার দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ হয় এই সীমান্ত দিয়ে। আবার পেট্রাপোল ভারতের অষ্টম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর। বছরে এই সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের ২৩.৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন।

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রমযানে সীমান্ত বাণিজ্যের সময় বদল

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার

রফতানি হচ্ছে প্রচুর ফল

এম এ হাকিম, বনগাঁ: রমযান মাস উপলক্ষে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি পণ্যের ট্রাক যাতায়াতের সময়সীমা পরিবর্তন হচ্ছে। একইসঙ্গে রমযান উপলক্ষে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর সংখ্যক বিভিন্ন ফলের ট্রাক যাচ্ছে বাংলাদেশে। বিশেষভাবে বিভিন্ন ফল, পিঁয়াজ, আদা, রসুন, শুকনো লঙ্কা ইত্যাদি রফতানি করা হচ্ছে। বর্তমানে সকাল ১০টা নাগাদ বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আমদানি পণ্যের ট্রাক আসা শুরু হয়। সেগুলো খালি করার কাজ চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত। কাজ বেশি হলে এই সময় আরও বেড়ে যায়, কিন্তু রমযান মাস উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ট্রাক আসবে বলে লোড-আনলোডের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা পেট্রাপোল মুটিয়া মজদুর শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘণ্টাখানেক বিরতির পর যদি কোনও ট্রাক আসে তাহলে স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা লোড-আনলোডের জন্য মাঠে থাকবে, অন্যথায় তারা চলে আসবেন।
এ দিকে, রমযান উপলক্ষে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রকার ফল যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘রমযান উপলক্ষে আঙুর, আপেল, কিসমিস এবং অন্যান্য ফলমূল-সহ ছোলা, মটর ইত্যাদি বেশি যাচ্ছে।’ পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি মীজানূর মণ্ডল জানান, ‘রমযান উপলক্ষে আগামী রবিবার থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এক্সপোর্ট সম্ভব হবে। রমযানে বাংলাদেশে বিশেষভাবে বিভিন্ন ফল, পিঁয়াজ, আদা, রসুন, শুকনো লঙ্কা ইত্যাদি রফতানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রচুর পরিমাণে ছোলা এক্সপোর্ট করা হয়েছে এবং এখনও যাচ্ছে।’ অন্যদিকে, ঈদের আগে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে তৈরি পোশাকের আমদানি বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীমহলের একাংশ মনে করছেন।
গত ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে পেট্রাপোল সীমান্তে মৈত্রী দ্বার ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পড়শি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া-র ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত বাণিজ্য, দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক তৈরিতে এলপিএআই প্রবেশপথ বলে মন্তব্য করেছিলেন অমিত শাহ।
প্রসঙ্গত, পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর হল দুই দেশের যোগাযোগের অন্যতম সীমান্ত। ভারতের দিকে পেট্রাপোল স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর। দুই দেশের বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপারের অন্যতম সীমান্ত পেট্রাপোল-বেনাপোল। ভারত বাংলাদেশের স্থলপথে যে বাণিজ্য হয়, তার ৭০ শতাংশ এই সীমান্ত দিয়ে হয়। আবার দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ হয় এই সীমান্ত দিয়ে। আবার পেট্রাপোল ভারতের অষ্টম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর। বছরে এই সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের ২৩.৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন।