১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাবিধি প্রত্যাহার করল ব্রিটেন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, সোমবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ব্রিটেন কোভিড বিধি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিল। বিশেষজ্ঞদের হাজার সতর্কবার্তা,  হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সোমবার থেকে মহামারীকালে আর কোনও বিধিনিষেধই রইল না ইংরেজদের দেশে। উঠে গেল বাড়ি থেকে কাজের নিয়মও মাস্ক পরার ক্ষেত্রে খানিক কড়াকড়ি থাকলেও শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে ভিডিও বার্তা দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, ”এখন না খুললে শীতকালে সব খোলা হত। ঠান্ডায় কোভিডের বাড়বাড়ন্ত হত। এটাই সঠিক সময় বলে মনে করছি। তবে সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে দিনযাপন করতে হবে।”

যদিও তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনেক সদস্যই। তাঁদের মতে, এটা খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত। কথা ছিল, ১৯ জুলাই থেকে সব লকডাউন-সহ যাবতীয় কোভিডবিধি উঠে যাবে ইংল্যান্ডে। সেই অপেক্ষায় ছিলেন সাধারণ ব্রিটিশরা। যদিও আশঙ্কাও ছিল। তবে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় সকলেরই ভ্যাকসিনের

জোড়া ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ায় শেষমেশ খুলে দেওয়া হল সব। প্রথম দিনই দেখা গেল, রাস্তার ধারে প্রচুর ছেলেমেয়ে একজোট হয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়াদাওয়া, গল্পগুজব করছে। বলা হচ্ছে, প্রায় স্বাধীনতা দিবসের মতো বাঁধনছাড়া আনন্দে ভেসেছে ইংল্যান্ড। গত দেড় বছর ধরে একটানা কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ মেনে ক্লান্ত ব্রিটিশরা আজ মুক্তির স্বাদ পাচ্ছেন যেন। আর তাতেই অশনি সংকেত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

করোনাবিধি প্রত্যাহার করল ব্রিটেন

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ব্রিটেন কোভিড বিধি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিল। বিশেষজ্ঞদের হাজার সতর্কবার্তা,  হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সোমবার থেকে মহামারীকালে আর কোনও বিধিনিষেধই রইল না ইংরেজদের দেশে। উঠে গেল বাড়ি থেকে কাজের নিয়মও মাস্ক পরার ক্ষেত্রে খানিক কড়াকড়ি থাকলেও শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে ভিডিও বার্তা দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, ”এখন না খুললে শীতকালে সব খোলা হত। ঠান্ডায় কোভিডের বাড়বাড়ন্ত হত। এটাই সঠিক সময় বলে মনে করছি। তবে সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে দিনযাপন করতে হবে।”

যদিও তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনেক সদস্যই। তাঁদের মতে, এটা খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত। কথা ছিল, ১৯ জুলাই থেকে সব লকডাউন-সহ যাবতীয় কোভিডবিধি উঠে যাবে ইংল্যান্ডে। সেই অপেক্ষায় ছিলেন সাধারণ ব্রিটিশরা। যদিও আশঙ্কাও ছিল। তবে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় সকলেরই ভ্যাকসিনের

জোড়া ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ায় শেষমেশ খুলে দেওয়া হল সব। প্রথম দিনই দেখা গেল, রাস্তার ধারে প্রচুর ছেলেমেয়ে একজোট হয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়াদাওয়া, গল্পগুজব করছে। বলা হচ্ছে, প্রায় স্বাধীনতা দিবসের মতো বাঁধনছাড়া আনন্দে ভেসেছে ইংল্যান্ড। গত দেড় বছর ধরে একটানা কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ মেনে ক্লান্ত ব্রিটিশরা আজ মুক্তির স্বাদ পাচ্ছেন যেন। আর তাতেই অশনি সংকেত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।