১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা, শান্তি নিয়ে আলোচনা বিএসএফ-বিজিবি-র

Kibria Ansary
  • আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 0

নয়াদিল্লি, ২০ ফেব্রুয়ারি: কখনও অনুপ্রবেশ, কখনও বা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা জারি। এই আবহে দিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবি ডিজি পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। চারদিনের এই বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিএসএফ-এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধরি ও বিজিবি-র ডিজি মেজর জেনারেল আসরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে দলজিৎ সিং চৌধরি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে অনুপ্রবেশের সবরকম চেষ্টা বন্ধ করা হয়েছে। বিজিবি-র সাহায্য নিয়ে আমরা এই কাজ করেছি। অনুপ্রবেশের চেষ্টা সংখ্যা যথেষ্ট কম। এরপরই বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে বিএসএফ ডিজি বলেছেন, প্রাণনাশ হয় এমন কোনও আক্রমণ ভারত করে না। এটাই বাংলাদেশের জন্য ভারতের নীতি। আমরা কখনোই প্রয়োজন ছাড়া বন্দুকের ব্যবহার করি না। যখন আর কোনও কিছু করার থাকে না তখন আত্মরক্ষার জন্য আগ্নয়াস্ত্র ব্যবহার করতে হয়। আমরা বিজিবিকে আবেদন করেছি, অনুপ্রবেশের ঘটনা যেন না ঘটে এবং বর্ডার যেন শান্তিপূর্ণ থাকে।

এদিকে বিজিবি-র ডিজি মেজর জেনারেল আসরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সুর নরম করে বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রে তা অতিরঞ্জিত। দুর্গাপুজো হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। বিজিবি ৮ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। এই এলাকায় অনেক দুর্গা মণ্ডপ ছিল। কোনও ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়নি। সিদ্দিকীর কথায়, “১৫০ গজে পার্মানেন্ট কন্সট্রাকশন করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। যদি অপরপক্ষকে না জানিয়ে করা হয় তখন আপত্তি তোলা হয়। এটাই নিয়ম। বিজিবি-র তরফে কখনো বিএসএফ বা ভারতীয়দের আক্রমণ করা হয়নি।”

রিপোর্টার

Kibria Ansary

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা, শান্তি নিয়ে আলোচনা বিএসএফ-বিজিবি-র

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি, ২০ ফেব্রুয়ারি: কখনও অনুপ্রবেশ, কখনও বা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা জারি। এই আবহে দিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবি ডিজি পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। চারদিনের এই বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিএসএফ-এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধরি ও বিজিবি-র ডিজি মেজর জেনারেল আসরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে দলজিৎ সিং চৌধরি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে অনুপ্রবেশের সবরকম চেষ্টা বন্ধ করা হয়েছে। বিজিবি-র সাহায্য নিয়ে আমরা এই কাজ করেছি। অনুপ্রবেশের চেষ্টা সংখ্যা যথেষ্ট কম। এরপরই বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে বিএসএফ ডিজি বলেছেন, প্রাণনাশ হয় এমন কোনও আক্রমণ ভারত করে না। এটাই বাংলাদেশের জন্য ভারতের নীতি। আমরা কখনোই প্রয়োজন ছাড়া বন্দুকের ব্যবহার করি না। যখন আর কোনও কিছু করার থাকে না তখন আত্মরক্ষার জন্য আগ্নয়াস্ত্র ব্যবহার করতে হয়। আমরা বিজিবিকে আবেদন করেছি, অনুপ্রবেশের ঘটনা যেন না ঘটে এবং বর্ডার যেন শান্তিপূর্ণ থাকে।

এদিকে বিজিবি-র ডিজি মেজর জেনারেল আসরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সুর নরম করে বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রে তা অতিরঞ্জিত। দুর্গাপুজো হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। বিজিবি ৮ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। এই এলাকায় অনেক দুর্গা মণ্ডপ ছিল। কোনও ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়নি। সিদ্দিকীর কথায়, “১৫০ গজে পার্মানেন্ট কন্সট্রাকশন করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। যদি অপরপক্ষকে না জানিয়ে করা হয় তখন আপত্তি তোলা হয়। এটাই নিয়ম। বিজিবি-র তরফে কখনো বিএসএফ বা ভারতীয়দের আক্রমণ করা হয়নি।”