২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৬ সাল থেকে দশম শ্রেনির পরীক্ষায় বড় বদল আনছে সিবিএসই

Abul Khayer
  • আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বুধবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পরীক্ষা পদ্ধতিতে আবার বদল আনবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন। আগামী ২০২৬ সাল থেকেই বদলে যাবে দশম শ্রেণির পরীক্ষার পদ্ধতি। এবার থেকে বছরে একবার নয়, দু’বার পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণিতে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে সিবিএসই’র অধীনে থাকা ২৬০টি বিদেশি স্কুলে এই বৈশ্বিক পাঠ্যক্রম মানা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আগামী সোমবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিক, শিক্ষামন্ত্রক, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, এনসিইআরটি-র নেতৃস্থানীয় আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংস্থান এবং নভোদয় বিদ্যালয় সমিতির আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হবে যেখানে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন সম্প্রতি বছরে একাধিক বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। আর এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা আরও বেশি নম্বর তোলার সুযোগ পাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর অনুসারে এই বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা এবং ছাত্র-মুখী নীতির কারণে এই বদল আনা হচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতিতে।

শিক্ষামন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই উদ্যোগ মূলত নেওয়া হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য, বছরে একবার পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে একাধিকবার পরীক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার জন্য যাতে তারা নিজেদের উন্নত করার জন্য যথাযোগ্য সময় পায়। অনেকবার প্রচেষ্টা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে সিবিএসই একটি সাপোর্টিভ লার্নিং সিস্টেম চালু করার কথা ভাবছে। শুধু মুখস্থবিদ্যা নয়, বিষয়ের গভীরে গিয়ে তা আত্মস্থ করার দিকে জোর দিচ্ছে সিবিএসই।”

এই নীতির মাধ্যমে কম্পিটেন্সি-ভিত্তিক মূল্যায়নে জোর দেওয়া হবে এবং আগের সংযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি উঠে যাবে এবার থেকে। একইসঙ্গে ফর্মেটিভ লার্নিং এবং স্কিল মাস্টারির উপরে জোর দিচ্ছে সিবিএসই। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “সিবিএসই মূলত ফর্মেটিভ লার্নিংয়ের দিকে জোর দিচ্ছে এখন যেখানে পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে এবং নিজেদের ব্যক্তিগত উন্নয়নের চেষ্টা করতে পারবে, শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের উপরে নির্ভরশীল না থেকে। এই মডেলটি বৈশ্বিক বেশ কিছু শিক্ষা মডেলের অনুসারী, মার্কিনি শিক্ষাব্যবস্থাতেও এসএটি সিস্টেম রয়েছে। এই সিস্টেমে পরীক্ষার্থীরা বহুবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান এবং নিজের সেরাটা দিয়ে ভাল নম্বর পেতে পারেন”।

 

Tag :

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২০২৬ সাল থেকে দশম শ্রেনির পরীক্ষায় বড় বদল আনছে সিবিএসই

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পরীক্ষা পদ্ধতিতে আবার বদল আনবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন। আগামী ২০২৬ সাল থেকেই বদলে যাবে দশম শ্রেণির পরীক্ষার পদ্ধতি। এবার থেকে বছরে একবার নয়, দু’বার পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণিতে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে সিবিএসই’র অধীনে থাকা ২৬০টি বিদেশি স্কুলে এই বৈশ্বিক পাঠ্যক্রম মানা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আগামী সোমবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিক, শিক্ষামন্ত্রক, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, এনসিইআরটি-র নেতৃস্থানীয় আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংস্থান এবং নভোদয় বিদ্যালয় সমিতির আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হবে যেখানে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন সম্প্রতি বছরে একাধিক বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। আর এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা আরও বেশি নম্বর তোলার সুযোগ পাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর অনুসারে এই বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা এবং ছাত্র-মুখী নীতির কারণে এই বদল আনা হচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতিতে।

শিক্ষামন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই উদ্যোগ মূলত নেওয়া হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য, বছরে একবার পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে একাধিকবার পরীক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার জন্য যাতে তারা নিজেদের উন্নত করার জন্য যথাযোগ্য সময় পায়। অনেকবার প্রচেষ্টা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে সিবিএসই একটি সাপোর্টিভ লার্নিং সিস্টেম চালু করার কথা ভাবছে। শুধু মুখস্থবিদ্যা নয়, বিষয়ের গভীরে গিয়ে তা আত্মস্থ করার দিকে জোর দিচ্ছে সিবিএসই।”

এই নীতির মাধ্যমে কম্পিটেন্সি-ভিত্তিক মূল্যায়নে জোর দেওয়া হবে এবং আগের সংযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি উঠে যাবে এবার থেকে। একইসঙ্গে ফর্মেটিভ লার্নিং এবং স্কিল মাস্টারির উপরে জোর দিচ্ছে সিবিএসই। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “সিবিএসই মূলত ফর্মেটিভ লার্নিংয়ের দিকে জোর দিচ্ছে এখন যেখানে পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে এবং নিজেদের ব্যক্তিগত উন্নয়নের চেষ্টা করতে পারবে, শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের উপরে নির্ভরশীল না থেকে। এই মডেলটি বৈশ্বিক বেশ কিছু শিক্ষা মডেলের অনুসারী, মার্কিনি শিক্ষাব্যবস্থাতেও এসএটি সিস্টেম রয়েছে। এই সিস্টেমে পরীক্ষার্থীরা বহুবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান এবং নিজের সেরাটা দিয়ে ভাল নম্বর পেতে পারেন”।