২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি, সহায়ক মূল্যে ১১ লক্ষ টন আলু কিনবে রাজ্য

Sumana Puber Kalom
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
  • / 0

পুবের কলম প্রতিবেদক: গত সপ্তাকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা এবং ছত্তিশগড়ের উপর দিয়ে সৃষ্ট অক্ষরেখার প্রভাবে  প্রবল বৃষ্টি আর অন্যদিকে ডিভিসির ছাড়া জলের তোড়ে সৃষ্টি হওয়া বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েন বাঁকুড়ার সোনামুখী সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার আলু চাষীরা।     ক্ষতিগ্রস্থ আলু চাষীদের কথা ভেবেই দিন দুয়েক আগেই আগেই নবান্ন সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলুর ন্যয্য সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে কুইন্টাল প্রতি ৯০০ টাকা করা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষোণার পরেই ‌রাজ্যের আলু  চাষীদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে আলু কেনার বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর।

সদ্য জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আলু চাষীরা যেমন ন্যায্য সহায়ক মূল্য পাবেন, তেমনি কৃষকদের কাছ থেকেও সরাসরি আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী কাল অর্থাৎ ১  মার্চ থেকেই আলু চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি জ্যোতি আলু কিনবে রাজ্য সরকার। আগামী ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক জেলার কৃষকরা রাজ্য সরকারের কাছে আলু বিক্রি করতে পারবেন।

এমনকী বাকুড়া সহ অন্য যেসব জেলায় আলুর জমি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল, ওই সব জেলার কৃষকরাও তা রাজ্য সরকারের কাছে বিক্রি করে নায্য সহায়ক মূল্য পাবেন বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার বাংলার আলু চাষীদের কাছ থেকে  ১১ লক্ষ টন আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে একজন কৃষক রাজ্য সরকারের কাছে ৩৫ কুইন্টাল আলু বিক্রি করতে পারবেন। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলা থেকে ১১ লক্ষ টন আলু কিনবে রাজ্য সরকার।

এ ছাড়াও ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক আলু চাষীদের উতপাদিত আলু হিমঘরে রাখার জন্য হিমঘরের ৩০ শতাংশ জায়গা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।হিমঘরে আলু রাখার জন্য জমির নথির পাশাপাশি কৃষকবন্ধু প্রকল্প, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের নথি। এ ব্যাপারে জেলাশাসক, বিডিওদের নজরদারি চালানোর কথাও বলা হয়েছে।

 

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি, সহায়ক মূল্যে ১১ লক্ষ টন আলু কিনবে রাজ্য

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: গত সপ্তাকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা এবং ছত্তিশগড়ের উপর দিয়ে সৃষ্ট অক্ষরেখার প্রভাবে  প্রবল বৃষ্টি আর অন্যদিকে ডিভিসির ছাড়া জলের তোড়ে সৃষ্টি হওয়া বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েন বাঁকুড়ার সোনামুখী সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার আলু চাষীরা।     ক্ষতিগ্রস্থ আলু চাষীদের কথা ভেবেই দিন দুয়েক আগেই আগেই নবান্ন সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলুর ন্যয্য সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে কুইন্টাল প্রতি ৯০০ টাকা করা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষোণার পরেই ‌রাজ্যের আলু  চাষীদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে আলু কেনার বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর।

সদ্য জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আলু চাষীরা যেমন ন্যায্য সহায়ক মূল্য পাবেন, তেমনি কৃষকদের কাছ থেকেও সরাসরি আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী কাল অর্থাৎ ১  মার্চ থেকেই আলু চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি জ্যোতি আলু কিনবে রাজ্য সরকার। আগামী ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক জেলার কৃষকরা রাজ্য সরকারের কাছে আলু বিক্রি করতে পারবেন।

এমনকী বাকুড়া সহ অন্য যেসব জেলায় আলুর জমি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল, ওই সব জেলার কৃষকরাও তা রাজ্য সরকারের কাছে বিক্রি করে নায্য সহায়ক মূল্য পাবেন বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার বাংলার আলু চাষীদের কাছ থেকে  ১১ লক্ষ টন আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে একজন কৃষক রাজ্য সরকারের কাছে ৩৫ কুইন্টাল আলু বিক্রি করতে পারবেন। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলা থেকে ১১ লক্ষ টন আলু কিনবে রাজ্য সরকার।

এ ছাড়াও ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক আলু চাষীদের উতপাদিত আলু হিমঘরে রাখার জন্য হিমঘরের ৩০ শতাংশ জায়গা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।হিমঘরে আলু রাখার জন্য জমির নথির পাশাপাশি কৃষকবন্ধু প্রকল্প, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের নথি। এ ব্যাপারে জেলাশাসক, বিডিওদের নজরদারি চালানোর কথাও বলা হয়েছে।