দিল্লি হিংসা: পুলিশের কাছে কোনও প্রমাণ নেই, জামিনের আবেদন ইশরাতের
- আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২১, শুক্রবার
- / 0
নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই : ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে কঠোর ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর ইশরাত জাহানকে। শুক্রবার তিনি জামিনের আবেদন করে জানিয়েছেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। শুধু ইশরাত নন, তাঁর মতো অনেককে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের ওই হিংসার ‘মূল মাথা’ বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসায় প্রাণ যায় ৫৩ জনের ও আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি যাঁদের অধিকাংশই মুসলিম।
অতিরিক্ত সেশন বিচারপতি অমিতাভ রাওয়াতের সামনে জামিন চেয়ে ইশরাতের আইনজীবী প্রদীপ তেওটিয়া বলেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোই অভিযোগকারীদের লক্ষ্য। পাশাপাশি তেওটিয়া চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, ইউএপিএ ধারায় আটক করার মতো বিন্দুমাত্র প্রমাণ থাকলে তা পেশ করা হোক। তাছাড়া, যাঁদের ইতিমধ্যে জামিন দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তুলনায় ইশরাত অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছেন। ইশরাতের বিরুদ্ধে হিংসায় অর্থ সাহায্য করার অভিযোগ করা হলে তেওটিয়া তা নস্যাৎ করে দেন। তাঁর ব্যাঙ্কের লেনদেনের তথ্যও দেওয়া হয়েছে যাতে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা নেই। যে ‘প্রমাণ’ পেশ করা হয়েছে তা আংশিক, পূর্ণাঙ্গ তথ্য-প্রমাণ দিলে দেখা যাবে যে, ইশরাত নিরপরাধ। সেই সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তেওটিয়া।
ইশরাত জাহান নিজেই একজন আইনজীবী, তরুণ রাজনীতিবিদ, কিন্তু তাঁকে ‘কট্টর’ বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থা তাঁর একটি খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেন তেওটিয়া। এই প্রথম ইশরাত সাধারণ জামিনের আবেদন করেছেন। তাঁকে এর আগে বিবাহের জন্য দশ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল আদালত। প্রসঙ্গত, দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্রতি এই মামলায় তানহা, নারওয়াল ও কালিতাকে জামিন দিয়েছিল। প্রতিবাদের অধিকার ও সন্ত্রাসমূলক ক্রিয়াকলাপের মধ্যে একটি সরু রেখা রয়েছে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।