১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে ফলের রসের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, মৃত ৫২, আহত বহু, বাঁচতে উপর থেকে ঝাঁপ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ জুলাই ২০২১, শুক্রবার
  • / 0


পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশে ফলের রসের কারখানায় আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। প্রথমে কারখানাটির ৬’তলায় আগুন লাগে। তারপর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ১৮টি দমকলের ইঞ্জিন। তড়িঘড়ি চলে উদ্ধারকার্য। বৃহস্পতিবারই ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেই আগুন শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি দমকল বাহিনী। তারা এখনও আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকার সাজেন ফ্রুট জুস তৈরির এই কারখানাটি হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের। দমকল সূত্রে খবর, কারখানাটির ভিতরে প্রচুর প্লাস্টিকের বোতল, রাসায়নিক পদার্থ, ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু মজুদ অবস্থায় পড়েছিল। সেখান থেকেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে, কারখানাটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লাগলে তা অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারখানা থেকে বাইরে বের হবার পথটি বন্ধ হয়ে যায়। আগুনের হাত থেকে বাঁচতে কারখানার কর্মীরা উপর থেকে ঝাঁপ দেন। প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েন স্বপ্না রানী (৪৪) ও মিনা আক্তার (৩৪) নামে দুই শ্রমিক। পরে মোরসালিন (২৮) নামের একজন শ্রমিক বাঁচতে তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেন। তিনজনই বৃহস্পতিবার মারা গিয়েছেন।
আগুনের তাপে বহু শ্রমিক বের হতে না পেরে কারখানার ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশে ফলের রসের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, মৃত ৫২, আহত বহু, বাঁচতে উপর থেকে ঝাঁপ

আপডেট : ৯ জুলাই ২০২১, শুক্রবার


পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশে ফলের রসের কারখানায় আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। প্রথমে কারখানাটির ৬’তলায় আগুন লাগে। তারপর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ১৮টি দমকলের ইঞ্জিন। তড়িঘড়ি চলে উদ্ধারকার্য। বৃহস্পতিবারই ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেই আগুন শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি দমকল বাহিনী। তারা এখনও আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকার সাজেন ফ্রুট জুস তৈরির এই কারখানাটি হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের। দমকল সূত্রে খবর, কারখানাটির ভিতরে প্রচুর প্লাস্টিকের বোতল, রাসায়নিক পদার্থ, ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু মজুদ অবস্থায় পড়েছিল। সেখান থেকেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে, কারখানাটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লাগলে তা অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারখানা থেকে বাইরে বের হবার পথটি বন্ধ হয়ে যায়। আগুনের হাত থেকে বাঁচতে কারখানার কর্মীরা উপর থেকে ঝাঁপ দেন। প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েন স্বপ্না রানী (৪৪) ও মিনা আক্তার (৩৪) নামে দুই শ্রমিক। পরে মোরসালিন (২৮) নামের একজন শ্রমিক বাঁচতে তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেন। তিনজনই বৃহস্পতিবার মারা গিয়েছেন।
আগুনের তাপে বহু শ্রমিক বের হতে না পেরে কারখানার ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।