১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল কারেন্সি চালুর চিন্তা ভাবনা ফিলিস্তিনে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ জুন ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অর্থনৈতিক বিষয়ে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ও  একটি স্বাধীন আর্থিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল কারেন্সি বা মুদ্রা চালু করার ব্যাপারে দু‍‌‌‌‌‌‌টি গবেষণা চালাচ্ছে ফিলিস্তিন। তবে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ফিলিস্তিনি মুদ্রা কর্তৃপক্ষের গভর্নর ফেরাস মিলহেম জানিয়েছেন, ’এই ডিজিটাল মুদ্রা চালুর লক্ষ্য হবে আমাদের দেশের দেনা-পাওনা পরিশোধে একে ব্যবহার করা। ইসরাইল ও অন্যান্য দেশে টাকা দেওয়া বা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এ মুদ্রার মাধ্যমে।’ গবেষকরা বলছেন, এ ডিজিটাল মুদ্রা ফিলিস্তিনে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করবে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এ প্রতিষ্ঠানটিই ফিলিস্তিনিদের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে পরিণত হবে এবং বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ইসরাইলের কাছ থেকে ফিলিস্তিনিদের আর্থিক স্বাধীনতা দিতে পারবে। ১৯৯০ সালে ইসরাইলের সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের নিজেদের কোনও কার্যকর মুদ্রা নেই। তারা ইসরাইলের শেকেল ও জর্ডনের রিয়াল ব্যবহার করেন নিজেদের মুদ্রা হিসেবে।

নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে ফিলিস্তিনের ব্যাঙ্কগুলোতে ইসরাইলের মুদ্রা দিয়েই কাজ চলে। একারণে ইসরাইলের বিভিন্ন ধরনের নজরদারি ও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয় ফিলিস্তিনিদের। ফিলিস্তিনের ব্যাঙ্কগুলোর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনও নিষিদ্ধ। এছাড়া প্রত্যেক লেনদেনের হিসাবও ইসরাইলে চলে যায় আর সেগুলো পর্যালোচনা করে জায়বাদী প্রশাসন।

 যেহেতু ফিলিস্তিনিদের প্রায়ই অন্য সংস্থাগুলোর সাথে মুদ্রা বিনিময় করতে হয় সেহেতু লেনদেনের ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল মুদ্রা ফিলিস্তিনিদের মুদ্রা ব্যবস্থাকে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের মুদ্রা কর্তৃপক্ষ ১০০রও বেশি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হবে যারা ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে আনার চেষ্টা করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের কারণে কাগজের নোট ও ধাতব কয়েন ব্যবহার কমছে। চিন, রাশিয়া, আমেরিকা ও ইউরো জোনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলো এখন ডিজিটাল মুদ্রা চালুর চেষ্টা করছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডিজিটাল কারেন্সি চালুর চিন্তা ভাবনা ফিলিস্তিনে

আপডেট : ২৯ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অর্থনৈতিক বিষয়ে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ও  একটি স্বাধীন আর্থিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল কারেন্সি বা মুদ্রা চালু করার ব্যাপারে দু‍‌‌‌‌‌‌টি গবেষণা চালাচ্ছে ফিলিস্তিন। তবে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ফিলিস্তিনি মুদ্রা কর্তৃপক্ষের গভর্নর ফেরাস মিলহেম জানিয়েছেন, ’এই ডিজিটাল মুদ্রা চালুর লক্ষ্য হবে আমাদের দেশের দেনা-পাওনা পরিশোধে একে ব্যবহার করা। ইসরাইল ও অন্যান্য দেশে টাকা দেওয়া বা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এ মুদ্রার মাধ্যমে।’ গবেষকরা বলছেন, এ ডিজিটাল মুদ্রা ফিলিস্তিনে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করবে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এ প্রতিষ্ঠানটিই ফিলিস্তিনিদের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে পরিণত হবে এবং বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ইসরাইলের কাছ থেকে ফিলিস্তিনিদের আর্থিক স্বাধীনতা দিতে পারবে। ১৯৯০ সালে ইসরাইলের সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের নিজেদের কোনও কার্যকর মুদ্রা নেই। তারা ইসরাইলের শেকেল ও জর্ডনের রিয়াল ব্যবহার করেন নিজেদের মুদ্রা হিসেবে।

নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে ফিলিস্তিনের ব্যাঙ্কগুলোতে ইসরাইলের মুদ্রা দিয়েই কাজ চলে। একারণে ইসরাইলের বিভিন্ন ধরনের নজরদারি ও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয় ফিলিস্তিনিদের। ফিলিস্তিনের ব্যাঙ্কগুলোর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনও নিষিদ্ধ। এছাড়া প্রত্যেক লেনদেনের হিসাবও ইসরাইলে চলে যায় আর সেগুলো পর্যালোচনা করে জায়বাদী প্রশাসন।

 যেহেতু ফিলিস্তিনিদের প্রায়ই অন্য সংস্থাগুলোর সাথে মুদ্রা বিনিময় করতে হয় সেহেতু লেনদেনের ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল মুদ্রা ফিলিস্তিনিদের মুদ্রা ব্যবস্থাকে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের মুদ্রা কর্তৃপক্ষ ১০০রও বেশি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হবে যারা ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে আনার চেষ্টা করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের কারণে কাগজের নোট ও ধাতব কয়েন ব্যবহার কমছে। চিন, রাশিয়া, আমেরিকা ও ইউরো জোনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কগুলো এখন ডিজিটাল মুদ্রা চালুর চেষ্টা করছে।