ইছামতি নদী পরিদর্শনে জেলাশাসকসহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা
- আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
- / 0
ইনামুল হক, বসিরহাট: রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে ইছামতি পূর্ণ সংস্কার করা হবে। তার আগে এই নদী পরিদর্শনে বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা নাগাদ স্বরূপনগরে এসে পৌঁছন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী। সঙ্গে ছিলেন এসডিও বসিরহাট- আশীষ কুমার, বনগাঁ , গাইঘাটা, স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া ব্লকের বিডিও সহ একাধিক আধিকারিক। সরেজমিনে দেখতে ইছামতিতে লঞ্চ সহযোগে পরিদর্শন করেন তারা।সেখান থেকে চলে আসেন স্বরূপনগর বিডিওর দপ্তরে।
প্রসঙ্গত, সংস্কারের অভাবে নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে ইছামতি নদী। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর জল উপচে প্লাবিত হয় এলাকা। প্রতিবছর এই প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ইছামতি সংস্কারের জন্য বৃহস্পতিবার স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া এলাকায় ইছামতি নদী সংস্কারের জন্য ইছামতিতে নদীপথে পরিদর্শন করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট মহকুমা শাসক আশীষ কুমার সহ বেশ কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকরা ও সেচ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নদীপথে লঞ্চে করে ইছামতি নদী পরিদর্শন করেন। মূলত কোন কোন এলাকায় বেশি করে নদী সংস্কার করা হবে সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া এলাকায় ইছামতি নদী সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান বসিরহাটের মহাকুমা শাসক আশীষ কুমার। এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি আরো বলেন, ‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো নদীপথে নদী পরিদর্শন করা হলো, যে সমস্ত জায়গাতে নদী সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে, সেই সমস্ত জায়গাতে খুব শীঘ্রই নদী সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’ বলাবাহুল্য
প্রতিবছর বর্ষার পর থেকে প্রায় চার মাস ধরে জলবন্দী থাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জমির ফসল। গত বর্ষার মৌসুমে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী এলাকা পরিদর্শনে এসে এলাকার দুর্গত মানুষদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বর্ষা শেষ হলেই ইছামতি সংস্কারের কাজ শুরু হবে
বসিরহাট মহকুমা শাসক আশীষ কুমার-জানান, প্রতিবছর বনগাঁ গাইঘাটা স্বরূপনগর সহ বাদুড়িয়ার একটা অংশ বর্ষার মৌসুমে ইছামতি প্লাবিত হতে দেখা যায়। সে কারণেই রাজ্য সরকার ইছামতির পূর্ণ সংস্কারের কাজে হাত দেবেন বলে সরজমিনে আজ পরিদর্শন করা হয়েছে |এরপর আলোচনা মধ্য দিয়ে পূর্ণ সংস্কারে হাত লাগাবে রাজ্য সরকার।