২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুবের কলমের খবরের জের,জাতীয় সড়ক সারাই শুরু

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৩ জুন ২০২১, বুধবার
  • / 1

দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম:  মারণ ফাঁদ রাস্তার সারাইয়ে তৎপরতা দেখালো বিভাগীয় দফতর। এই বিষয়ে একুশে জুন পুবের কলমে মানুষের ভোগান্তি নিয়ে এই সংবাদ পরিবেশন হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বুধবার  থেকেই  নলহাটি থেকে ভেঙে পড়া রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়। প্রশাসনের এই তৎপরতা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাময়িক স্বস্তি দিলেও জাতীয় সড়কের নব নির্মাণের দাবি থেকে তাঁরা সরে আসছেন না।

নলহাটির নারকেল তলার বাসিন্দা মিনহাজুল সেখ বলেন, এই তাপ্পি দিয়ে সাময়িক স্বস্তি মিলবে ঠিকই, কিন্তু  সেটা চিরস্থায়ী সমাধান নয়। আমরা চাই রাস্তার পুনর্নিমাণ।

উল্লেখ্য, নলহাটি থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত। নিত্য পথ দূর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরাপরাধ মানুষ। এই রাস্তা এড়াতে অনেকেই চাতরা মুরারই বাইপাস রাস্তা ব্যবহার করেন। অনেকেই ব্রহ্মাণী  নদী পেরিয়ে দেবগ্রাম হয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু বর্ষায় নদীতে জল থাকায় সে পথ বন্ধ থাকে। বর্ষার আগে প্রশাসনিক তৎপরতা দেখা দিলেও, রাস্তা সারাইয়ের কাজ বর্ষার আগে সম্পন্ন হওয়া উচিৎ। কিন্তু  আদৌ তা হয় না। এছাড়াও গ্রীষ্মের সময় জাতীয় সড়কে  এ‍সফল্ট পিচ কিছুই না থাকায়, গাড়ি চলাচলে প্রচুর ধুলো সৃষ্টি হয় এবং রাস্তা সংলগ্ন বাড়িতে ভাতের হাঁড়িতে পড়ে খাবার দূষিত করে। এলাকার মানুষ শ্বাস কষ্টের প্রকোপে ভোগেন।

এছাড়াও রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে যানজট সমস্যা বাড়ে। 

এ ব্যাপারে ডিস্ট্রিক্ট এক্সিকিউটিভ  ইঞ্জিনিয়ার জাতীয়  সড়ক নিশিকান্ত সিং বলেন,  রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। কিন্তু   এটা আবার কদিন পর খারাপ হবে। এটা স্থায়ী সমাধান নয়। পাবলিক বলছে রাস্তার জন্য দুর্ঘটনা হচ্ছে। বাড়িতে ধুলো ঢুকছে। কিন্তু  এর মূল কারণ ওভার লোডিং পাথর ও বালির গাড়ি। সেটা নিয়ে পাবলিক কেন বলছে না। আমার  সাধ্যমত করছি। উপর থেকে রাস্তা পুনর্নিমাণের সাংসন না হলে, আমার কি করার আছে?

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুবের কলমের খবরের জের,জাতীয় সড়ক সারাই শুরু

আপডেট : ২৩ জুন ২০২১, বুধবার

দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম:  মারণ ফাঁদ রাস্তার সারাইয়ে তৎপরতা দেখালো বিভাগীয় দফতর। এই বিষয়ে একুশে জুন পুবের কলমে মানুষের ভোগান্তি নিয়ে এই সংবাদ পরিবেশন হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বুধবার  থেকেই  নলহাটি থেকে ভেঙে পড়া রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়। প্রশাসনের এই তৎপরতা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাময়িক স্বস্তি দিলেও জাতীয় সড়কের নব নির্মাণের দাবি থেকে তাঁরা সরে আসছেন না।

নলহাটির নারকেল তলার বাসিন্দা মিনহাজুল সেখ বলেন, এই তাপ্পি দিয়ে সাময়িক স্বস্তি মিলবে ঠিকই, কিন্তু  সেটা চিরস্থায়ী সমাধান নয়। আমরা চাই রাস্তার পুনর্নিমাণ।

উল্লেখ্য, নলহাটি থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত। নিত্য পথ দূর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরাপরাধ মানুষ। এই রাস্তা এড়াতে অনেকেই চাতরা মুরারই বাইপাস রাস্তা ব্যবহার করেন। অনেকেই ব্রহ্মাণী  নদী পেরিয়ে দেবগ্রাম হয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু বর্ষায় নদীতে জল থাকায় সে পথ বন্ধ থাকে। বর্ষার আগে প্রশাসনিক তৎপরতা দেখা দিলেও, রাস্তা সারাইয়ের কাজ বর্ষার আগে সম্পন্ন হওয়া উচিৎ। কিন্তু  আদৌ তা হয় না। এছাড়াও গ্রীষ্মের সময় জাতীয় সড়কে  এ‍সফল্ট পিচ কিছুই না থাকায়, গাড়ি চলাচলে প্রচুর ধুলো সৃষ্টি হয় এবং রাস্তা সংলগ্ন বাড়িতে ভাতের হাঁড়িতে পড়ে খাবার দূষিত করে। এলাকার মানুষ শ্বাস কষ্টের প্রকোপে ভোগেন।

এছাড়াও রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে যানজট সমস্যা বাড়ে। 

এ ব্যাপারে ডিস্ট্রিক্ট এক্সিকিউটিভ  ইঞ্জিনিয়ার জাতীয়  সড়ক নিশিকান্ত সিং বলেন,  রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। কিন্তু   এটা আবার কদিন পর খারাপ হবে। এটা স্থায়ী সমাধান নয়। পাবলিক বলছে রাস্তার জন্য দুর্ঘটনা হচ্ছে। বাড়িতে ধুলো ঢুকছে। কিন্তু  এর মূল কারণ ওভার লোডিং পাথর ও বালির গাড়ি। সেটা নিয়ে পাবলিক কেন বলছে না। আমার  সাধ্যমত করছি। উপর থেকে রাস্তা পুনর্নিমাণের সাংসন না হলে, আমার কি করার আছে?