২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রযুক্তির উন্নয়ন, আকাশে উড়বে গাড়ি!

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৩ জুন ২০২১, বুধবার
  • / 1

বিশেষ প্রতিবেদন: প্রযুক্তির উন্নয়নে আজ অসাধ্য বলে আর কোনও কিছু নেই। সব কিছুই যেন আয়ত্তের মধ্যে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অগ্রগতির বলে এখন মানুষ আকাশে গাড়ি ওড়াতে চলেছে। কানাডার উদ্ভাবক মার্কাস লেংয়ের সংস্থা ‘ওপেনার’ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যবহারের জন্য একটি একক যাত্রীবাহী উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করেছে। আর এই গাড়ি রানওয়ে ছাড়াই আকাশে উড়তে এবং অবতরণ করতে সক্ষম। এটির নাম ’ব্ল্যাকফ্লাই’। চলতি বছর থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে এর বিপনন। লেংয়ের মতো প্রকৌশলী এবং উদ্যোক্তারা এক দশকেরও বেশি সময় উড়ন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির পেছনে ব্যয় করেছেন। অন্যান্যরা আরও বড় মাপের যানবাহন তৈরি করছেন।

তারা ২০২৪ সালের মধ্যেই আকাশে উবেরের মতো উড়ন্ত ট্যাক্সি সেবা চালু করার আশা করছেন। অনেকে এমন যানবাহন ডিজাইন করছেন যা পাইলট ছাড়াই উড়তে পারে। তাদের বিশ্বাস, এই যানবাহনগুলো হেলিকপ্টারের তুলনায় সস্তা এবং নিরাপদ হবে। জনসাধারণকে জনাকীর্ণ রাস্তাগুলোর উপর দিয়ে দ্রুততর সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।

লেং বলেছেন, ‘এটি দেখতে একটি অদ্ভুত জীবের মতো লাগতে পারে। তবে এটি পরিবহন পদ্ধতিকে বদলে দেবে।’
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং ‘কিটি হক’ এর চিফ এক্সিকিউটিভ এবং গুগলের সেল্ফ-ড্রাইভিং গাড়ি প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্তিয়ান তার উড়ন্ত গাড়ি ‘হেভিসাইড’ এর প্রোটোটাইপ সম্পর্কে বলেছেন যে, বাহনটি মাটির চেয়ে বাতাসে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে এবং এটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে খুব শীঘ্রই প্রবেশ করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন বিশ্বকে যানজট থেকে মুক্ত করা।’ ইতিমধ্যেই ব্ল্যাকফ্লাইকে কানাডা সরকার একটি পরীক্ষামূলক ‘আল্ট্রালাইট’ গাড়ি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। সুতরাং এটি বিক্রির আগে অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রযুক্তির উন্নয়ন, আকাশে উড়বে গাড়ি!

আপডেট : ২৩ জুন ২০২১, বুধবার

বিশেষ প্রতিবেদন: প্রযুক্তির উন্নয়নে আজ অসাধ্য বলে আর কোনও কিছু নেই। সব কিছুই যেন আয়ত্তের মধ্যে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অগ্রগতির বলে এখন মানুষ আকাশে গাড়ি ওড়াতে চলেছে। কানাডার উদ্ভাবক মার্কাস লেংয়ের সংস্থা ‘ওপেনার’ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যবহারের জন্য একটি একক যাত্রীবাহী উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করেছে। আর এই গাড়ি রানওয়ে ছাড়াই আকাশে উড়তে এবং অবতরণ করতে সক্ষম। এটির নাম ’ব্ল্যাকফ্লাই’। চলতি বছর থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে এর বিপনন। লেংয়ের মতো প্রকৌশলী এবং উদ্যোক্তারা এক দশকেরও বেশি সময় উড়ন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির পেছনে ব্যয় করেছেন। অন্যান্যরা আরও বড় মাপের যানবাহন তৈরি করছেন।

তারা ২০২৪ সালের মধ্যেই আকাশে উবেরের মতো উড়ন্ত ট্যাক্সি সেবা চালু করার আশা করছেন। অনেকে এমন যানবাহন ডিজাইন করছেন যা পাইলট ছাড়াই উড়তে পারে। তাদের বিশ্বাস, এই যানবাহনগুলো হেলিকপ্টারের তুলনায় সস্তা এবং নিরাপদ হবে। জনসাধারণকে জনাকীর্ণ রাস্তাগুলোর উপর দিয়ে দ্রুততর সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।

লেং বলেছেন, ‘এটি দেখতে একটি অদ্ভুত জীবের মতো লাগতে পারে। তবে এটি পরিবহন পদ্ধতিকে বদলে দেবে।’
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং ‘কিটি হক’ এর চিফ এক্সিকিউটিভ এবং গুগলের সেল্ফ-ড্রাইভিং গাড়ি প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্তিয়ান তার উড়ন্ত গাড়ি ‘হেভিসাইড’ এর প্রোটোটাইপ সম্পর্কে বলেছেন যে, বাহনটি মাটির চেয়ে বাতাসে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে এবং এটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে খুব শীঘ্রই প্রবেশ করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন বিশ্বকে যানজট থেকে মুক্ত করা।’ ইতিমধ্যেই ব্ল্যাকফ্লাইকে কানাডা সরকার একটি পরীক্ষামূলক ‘আল্ট্রালাইট’ গাড়ি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। সুতরাং এটি বিক্রির আগে অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।