১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘুদের স্বাবলম্বী করে তোলাই লক্ষ্য: রফিকুল আলম

Sumana Puber Kalom
  • আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার
  • / 0

সম্প্রতি মাইনোরিটি ভোকেশনাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন আইনজীবী রফিকুল আলম। পুবের কলমকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন কীভাবে কাজ করতে চান।

প্রশ্ন: সদ্য নতুন দায়িত্বভার পেলেন কেমন লাগছে?
রফিকুল আলম: খুবই ভালো লাগছে। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এই পদের জন্য ভরসা রেখেছেন, মনোনীত করেছেন। চেষ্টা করব সেই ভরসার পূর্ণ মর্যদা দেওয়ার। যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করার।
প্রশ্ন: আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
রফিকুল আলম: নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়া এলাকায় আমার জন্ম। বাবা সরকারি আধিকারিক ছিলেন। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করি। পশ্চিমবঙ্গ মাইনোরিটি কমিশনের সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছি।
প্রশ্ন: আপনার নেতৃত্বে আগামী দিনে এই সংস্থা সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কীভাবে কাজ করবে বলে আপনি মনে করছেন?
রফিকুল আলম: এই সংস্থা সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসাবে গঠিত হয়েছে ২০২৩ সালে। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার যেভাবে কাজ করছে তা সমগ্র দেশের কাছে একটি দৃষ্টান্ত। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী যুবক-যুবতী থেকে সর্বস্তরের মানুষ যাতে সবনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই সংস্থা কাজ করবে। আমি আরও একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাইবো, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাoাসা শিক্ষা মন্ত্রকের সচিব ড. পি বি সালিম অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেই আগামী দিনে আরও বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে।
প্রশ্ন: সংখ্যালঘুদের স্ব-নির্ভরশীল করে তুলতে কীভাবে কাজ করবে এই সংস্থা?
রফিকুল আলম: এই সংস্থা বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতি কাজ করবে। যেমন প্রশাসনিকভাবে সমগ্র রাজ্য ডিভিশনে বিভক্ত তেমনিভাবেই কাজ করতে চাই। যেন রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘুরা ট্রেনিং নিয়ে নিজেদের সবালম্বী করে তুলতে পারে।
তিনটি ভাগে এই ট্রেনিং পোগ্রাম করতে চাই। গৃহবধূ বাড়ির মহিলা তাদের জন্য। আচার জ্যাম জেলি তৈরির মতো ট্রেনিং। অদক্ষ অল্প শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের প্রয়োজন মতো শর্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম করে দক্ষ করে তোলা। তৃতীয়ত পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনিং পোগ্রাম। তবে আমার ইচ্ছা আছে ট্রেনিং প্রোগ্রামগুলিতে অংশগ্রহণকারীদের স্টাইপেন্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে সব ধরনের মানুষকেই আমরা এই প্রোজেক্টের মধ্যে নিয়ে আসতে পারব। অংশগ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথাও ভাবনাচিন্তার মধ্যে আছে।

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘুদের স্বাবলম্বী করে তোলাই লক্ষ্য: রফিকুল আলম

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার

সম্প্রতি মাইনোরিটি ভোকেশনাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন আইনজীবী রফিকুল আলম। পুবের কলমকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন কীভাবে কাজ করতে চান।

প্রশ্ন: সদ্য নতুন দায়িত্বভার পেলেন কেমন লাগছে?
রফিকুল আলম: খুবই ভালো লাগছে। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এই পদের জন্য ভরসা রেখেছেন, মনোনীত করেছেন। চেষ্টা করব সেই ভরসার পূর্ণ মর্যদা দেওয়ার। যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করার।
প্রশ্ন: আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
রফিকুল আলম: নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়া এলাকায় আমার জন্ম। বাবা সরকারি আধিকারিক ছিলেন। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করি। পশ্চিমবঙ্গ মাইনোরিটি কমিশনের সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছি।
প্রশ্ন: আপনার নেতৃত্বে আগামী দিনে এই সংস্থা সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কীভাবে কাজ করবে বলে আপনি মনে করছেন?
রফিকুল আলম: এই সংস্থা সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসাবে গঠিত হয়েছে ২০২৩ সালে। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার যেভাবে কাজ করছে তা সমগ্র দেশের কাছে একটি দৃষ্টান্ত। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী যুবক-যুবতী থেকে সর্বস্তরের মানুষ যাতে সবনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই সংস্থা কাজ করবে। আমি আরও একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাইবো, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাoাসা শিক্ষা মন্ত্রকের সচিব ড. পি বি সালিম অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেই আগামী দিনে আরও বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে।
প্রশ্ন: সংখ্যালঘুদের স্ব-নির্ভরশীল করে তুলতে কীভাবে কাজ করবে এই সংস্থা?
রফিকুল আলম: এই সংস্থা বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতি কাজ করবে। যেমন প্রশাসনিকভাবে সমগ্র রাজ্য ডিভিশনে বিভক্ত তেমনিভাবেই কাজ করতে চাই। যেন রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘুরা ট্রেনিং নিয়ে নিজেদের সবালম্বী করে তুলতে পারে।
তিনটি ভাগে এই ট্রেনিং পোগ্রাম করতে চাই। গৃহবধূ বাড়ির মহিলা তাদের জন্য। আচার জ্যাম জেলি তৈরির মতো ট্রেনিং। অদক্ষ অল্প শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের প্রয়োজন মতো শর্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম করে দক্ষ করে তোলা। তৃতীয়ত পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনিং পোগ্রাম। তবে আমার ইচ্ছা আছে ট্রেনিং প্রোগ্রামগুলিতে অংশগ্রহণকারীদের স্টাইপেন্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে সব ধরনের মানুষকেই আমরা এই প্রোজেক্টের মধ্যে নিয়ে আসতে পারব। অংশগ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথাও ভাবনাচিন্তার মধ্যে আছে।