১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি ১২৯ জনের, জারি সতর্কতা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার
  • / 1

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বৃষ্টিপাতের কারণে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ১২৯ জনের। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলার দায়িত্ব নিয়েছেন। মুম্বইয়ে গত ২দিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা  হয়, এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ পুরোদমে চলছে।

শুক্রবার কোলহাপুর জেলা থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুনে ও কোলহাপুরের পাশাপাশি সাংলি ও সাতারা জেলাতেও ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১২৯ এ পৌঁছেছে। তবে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা রায়গড় ও সাতারা জেলার। ভূমিধসের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বন্যার জলেও ডুবে প্রাণ হারান। তাঁদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার নামিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। শেষ খবর পাওয়া অবধি মোট ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর ছেলে তথা রাজ্যের মন্ত্রী আদিত্য নিজে একাধিক জায়গায় ছুটে গিয়েছেন। কোলহাপুর জেলায় বন্যার কারণে দশটি রাজ্য মহাসড়কসহ কমপক্ষে ৩৯টি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।

এনডিআরএফের ৩টি দল উদ্ধার কাজে নিযুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে,  ভূমিধসে যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন। 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি ১২৯ জনের, জারি সতর্কতা

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বৃষ্টিপাতের কারণে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ১২৯ জনের। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলার দায়িত্ব নিয়েছেন। মুম্বইয়ে গত ২দিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা  হয়, এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ পুরোদমে চলছে।

শুক্রবার কোলহাপুর জেলা থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুনে ও কোলহাপুরের পাশাপাশি সাংলি ও সাতারা জেলাতেও ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১২৯ এ পৌঁছেছে। তবে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা রায়গড় ও সাতারা জেলার। ভূমিধসের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বন্যার জলেও ডুবে প্রাণ হারান। তাঁদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার নামিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। শেষ খবর পাওয়া অবধি মোট ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর ছেলে তথা রাজ্যের মন্ত্রী আদিত্য নিজে একাধিক জায়গায় ছুটে গিয়েছেন। কোলহাপুর জেলায় বন্যার কারণে দশটি রাজ্য মহাসড়কসহ কমপক্ষে ৩৯টি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।

এনডিআরএফের ৩টি দল উদ্ধার কাজে নিযুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে,  ভূমিধসে যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন।