১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেজাল্ট না পেয়ে হাতে ফর্ম ফিলাপের ফিজ নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভ ইলামবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার
  • / 1

দেবশ্রী মজুমদার, ইলামবাজার: রেজাল্ট না আসায় হাতে ফর্ম ফিলাপের ফিজ নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভ ইলামবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাত্রদের অভিযোগ লকডাউনের সময় স্কুলের হোয়াটস ‍অ্যাপ  গ্রুপের নোটিশ মোতাবেক আট-ই জানুয়ারি তারা দুই  শত ষাট টাকা ফিজ দাখিল করেছে স্কুলের করণিক দেব প্রসাদ রায়ের কাছে। যেহেতু এবার  উচ্চমাধ্যমিক  পরীক্ষা হয় নি, তাদের এডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে হয় নি। আর তারা জানতে পারে নি, তাদের ফর্ম ফিলাপ হয় নি।  বারাসতের বাসিন্দা  উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র আনিসুর রহমান ইলাম বাজার মেসে থেকে ইলামবাজার স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। আনিসুর বলে, তার সাথে স্কুল যোগাযোগ করে নি। বা বলে নি তুমি ফিজ জমা দিলেও ফর্ম ফিলাপের খাতায় সই করো নি। তাই রেজাল্ট আসে নি।   

হতে পারে সই করি নি, কিন্তু তাবলে স্কুলের কোন দায়িত্ব নেই? কোনভাবে আমাদের জানাবে না?  যদিও স্কুলের  পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রদীপ কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, স্কুলের তরফে বার বার ফোন করেও কোন লাভ হয় নি। ফর্ম ফিলাপ না করেই ছাত্ররা ভুল কথা বলছে। সোমবার প্রধান শিক্ষক তাপস সরকার আসবেন। তখন আলোচনা করে একটা রাস্তা পাওয়া যাবে।  মেস মালিকের সাথেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কথা বলে বুঝতে পারে তাদের ফোন যে কোন কারণেই হোক পরীক্ষার্থীর কাছে পৌছায়নি  । তবে এই সংখ্যাটা জনা পাঁচেক হবে বলে স্কুল সূত্রে জানা গেছে। যদিও ‍ছাত্রদের দাবি, সংখ্যাটি কুড়ি থেকে পঁচিশ হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু ছাত্র এবছরের অতিমারী টানাপোড়েনে পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আরেক দল ছাত্র স্কুলের সাথে কদাচিৎ যোগাযোগ রাখতো।

পরীক্ষা না দিয়ে বন্ধুদের  পাশ করতে দেখে তারা ভাবছে তাদের মওকা ফসকে গেল। তাই তারা বাকি পাঁচ জন ছাত্রের সাথে নিজেরাও উতরে যেতে চাইছে। যদিও  এটা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠেছে স্কুল ফর্ম ফিলাপের ফিজ নিল, মাথাপিছু ফিজের হিসেবে অতিরিক্ত অর্থের গড়মিল চোখে পড়লো না? তারজন্য  মেসে গিয়ে ছাত্রদের খোঁজ করা গেল না? যদিও  জানা গেছে, উচ্চমাধ্যমিকের ফিজ দাখিলের দিন স্কুলে তিনটি সারিতে কাজ চলছিল। একটি সারিতে করণিক  শুধুমাত্র ফিজ দাখিলের ফিজ জমা নিচ্ছিলেন। অন্য দুটি সারিতে শিক্ষকরা যথাক্রমে ফর্ম ফিলাপ ও প্রজেক্ট পেপার জমা নেওয়ার কাজ চলছিল। কিছু ছাত্র ফিজ জমা ও প্রজেক্ট পেপার জমা দিয়ে তাদের দায়িত্ব খালাস ভেবেছে, আর তাতেই  এই বিপত্তি। ছাত্রদের আশা যেহেতু পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট হয় নি, মানবিক সরকার তাদের ভবিষ্যতের কথা ভাববে। তারা স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রেজাল্ট না পেয়ে হাতে ফর্ম ফিলাপের ফিজ নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভ ইলামবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার

দেবশ্রী মজুমদার, ইলামবাজার: রেজাল্ট না আসায় হাতে ফর্ম ফিলাপের ফিজ নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভ ইলামবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাত্রদের অভিযোগ লকডাউনের সময় স্কুলের হোয়াটস ‍অ্যাপ  গ্রুপের নোটিশ মোতাবেক আট-ই জানুয়ারি তারা দুই  শত ষাট টাকা ফিজ দাখিল করেছে স্কুলের করণিক দেব প্রসাদ রায়ের কাছে। যেহেতু এবার  উচ্চমাধ্যমিক  পরীক্ষা হয় নি, তাদের এডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে হয় নি। আর তারা জানতে পারে নি, তাদের ফর্ম ফিলাপ হয় নি।  বারাসতের বাসিন্দা  উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র আনিসুর রহমান ইলাম বাজার মেসে থেকে ইলামবাজার স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। আনিসুর বলে, তার সাথে স্কুল যোগাযোগ করে নি। বা বলে নি তুমি ফিজ জমা দিলেও ফর্ম ফিলাপের খাতায় সই করো নি। তাই রেজাল্ট আসে নি।   

হতে পারে সই করি নি, কিন্তু তাবলে স্কুলের কোন দায়িত্ব নেই? কোনভাবে আমাদের জানাবে না?  যদিও স্কুলের  পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রদীপ কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, স্কুলের তরফে বার বার ফোন করেও কোন লাভ হয় নি। ফর্ম ফিলাপ না করেই ছাত্ররা ভুল কথা বলছে। সোমবার প্রধান শিক্ষক তাপস সরকার আসবেন। তখন আলোচনা করে একটা রাস্তা পাওয়া যাবে।  মেস মালিকের সাথেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কথা বলে বুঝতে পারে তাদের ফোন যে কোন কারণেই হোক পরীক্ষার্থীর কাছে পৌছায়নি  । তবে এই সংখ্যাটা জনা পাঁচেক হবে বলে স্কুল সূত্রে জানা গেছে। যদিও ‍ছাত্রদের দাবি, সংখ্যাটি কুড়ি থেকে পঁচিশ হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু ছাত্র এবছরের অতিমারী টানাপোড়েনে পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আরেক দল ছাত্র স্কুলের সাথে কদাচিৎ যোগাযোগ রাখতো।

পরীক্ষা না দিয়ে বন্ধুদের  পাশ করতে দেখে তারা ভাবছে তাদের মওকা ফসকে গেল। তাই তারা বাকি পাঁচ জন ছাত্রের সাথে নিজেরাও উতরে যেতে চাইছে। যদিও  এটা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠেছে স্কুল ফর্ম ফিলাপের ফিজ নিল, মাথাপিছু ফিজের হিসেবে অতিরিক্ত অর্থের গড়মিল চোখে পড়লো না? তারজন্য  মেসে গিয়ে ছাত্রদের খোঁজ করা গেল না? যদিও  জানা গেছে, উচ্চমাধ্যমিকের ফিজ দাখিলের দিন স্কুলে তিনটি সারিতে কাজ চলছিল। একটি সারিতে করণিক  শুধুমাত্র ফিজ দাখিলের ফিজ জমা নিচ্ছিলেন। অন্য দুটি সারিতে শিক্ষকরা যথাক্রমে ফর্ম ফিলাপ ও প্রজেক্ট পেপার জমা নেওয়ার কাজ চলছিল। কিছু ছাত্র ফিজ জমা ও প্রজেক্ট পেপার জমা দিয়ে তাদের দায়িত্ব খালাস ভেবেছে, আর তাতেই  এই বিপত্তি। ছাত্রদের আশা যেহেতু পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট হয় নি, মানবিক সরকার তাদের ভবিষ্যতের কথা ভাববে। তারা স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারবে।