১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের দেশের হয়ে খেলার ব্যাপারে সংশয়ে ছিলাম: মুহাম্মদ শামি

Juifa Parveen
  • আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 0

দুবাই, ২০ ফেব্রুয়ারিঃ  চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে মুহাম্মদ শামির ওপরেই দলের বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চোটের কারনে ১৪ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছে বাংলার তারকা পেসারকে। সেই সময় তিনি সংশয়ে ছিলেন, দেশের হয়ে আর খেলতে পারবেন কিনা, তাই নিয়ে।

 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎাকরে শামি বলেন, ‘বিশ্বকাপে দারুন বোলিং করার পরেই জানতে পারি আমায় অস্ত্রোপচার করাতে হবে। এই ব্যাপারটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল। প্রথম দু’মাস শুধু মনে হত, ফের দেশের হয়ে খেলতে পারব তো? ১৪ মাসের বিরতি একজন খেলোয়াড়কে মানসিকভাবে ভেঙে দিতে পারে। ওই সময়ে আমি সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছি।’

একইসঙ্গে শামি আরও বলেন, ‘আমি প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, মাঠে ফিরতে আমার কতদিন সময় লাগবে? তিনি আমায় বলেন, ‘খেলা অনেক দূর। আগে তোমায় চলাফেরা করতে হবে। তারপরে জগিং এবং দৌড়। তখন থেকেই ভাবছিলাম, ফের ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারব কিনা। দু’মাস পরে যখন চিকিৎসকদের  পরামর্শ মত মাটিতে পা রেখে চলার চেষ্টা করি তখন বিশ্বাস করবেন না, খুব ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, প্রথমবার হাঁটতে শিখছি।’

 

শামি জানান, একজন ক্রিকেটার যে নিয়মিত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে সেই খেলোয়াড়টি ক্রাচ নিয়ে হাঁটছে, এই দৃশ্য দেখাটা বেশ কষ্টকর। দেশের হয়ে খেলার অনুপ্রেরণাই তাঁকে আবার জাতীয় দলে সুযোগ করে দিয়েছে বলে মনে করছেন বাংলার পেসার। তাঁর কথায়, ‘দেশের হয়ে মাঠে নামার ইচ্ছেই সবথেকে বড় প্রেরণা। এটাই আমাকে চাঙ্গা করে রাখে। এর জন্য অনেক কষ্টই সহ্য করা যায়।’

Tag :

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের দেশের হয়ে খেলার ব্যাপারে সংশয়ে ছিলাম: মুহাম্মদ শামি

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

দুবাই, ২০ ফেব্রুয়ারিঃ  চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে মুহাম্মদ শামির ওপরেই দলের বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চোটের কারনে ১৪ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছে বাংলার তারকা পেসারকে। সেই সময় তিনি সংশয়ে ছিলেন, দেশের হয়ে আর খেলতে পারবেন কিনা, তাই নিয়ে।

 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎাকরে শামি বলেন, ‘বিশ্বকাপে দারুন বোলিং করার পরেই জানতে পারি আমায় অস্ত্রোপচার করাতে হবে। এই ব্যাপারটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল। প্রথম দু’মাস শুধু মনে হত, ফের দেশের হয়ে খেলতে পারব তো? ১৪ মাসের বিরতি একজন খেলোয়াড়কে মানসিকভাবে ভেঙে দিতে পারে। ওই সময়ে আমি সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছি।’

একইসঙ্গে শামি আরও বলেন, ‘আমি প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, মাঠে ফিরতে আমার কতদিন সময় লাগবে? তিনি আমায় বলেন, ‘খেলা অনেক দূর। আগে তোমায় চলাফেরা করতে হবে। তারপরে জগিং এবং দৌড়। তখন থেকেই ভাবছিলাম, ফের ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারব কিনা। দু’মাস পরে যখন চিকিৎসকদের  পরামর্শ মত মাটিতে পা রেখে চলার চেষ্টা করি তখন বিশ্বাস করবেন না, খুব ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, প্রথমবার হাঁটতে শিখছি।’

 

শামি জানান, একজন ক্রিকেটার যে নিয়মিত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে সেই খেলোয়াড়টি ক্রাচ নিয়ে হাঁটছে, এই দৃশ্য দেখাটা বেশ কষ্টকর। দেশের হয়ে খেলার অনুপ্রেরণাই তাঁকে আবার জাতীয় দলে সুযোগ করে দিয়েছে বলে মনে করছেন বাংলার পেসার। তাঁর কথায়, ‘দেশের হয়ে মাঠে নামার ইচ্ছেই সবথেকে বড় প্রেরণা। এটাই আমাকে চাঙ্গা করে রাখে। এর জন্য অনেক কষ্টই সহ্য করা যায়।’