২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আধারের আদলে আপার কার্ড! জেনে নিন কার্যকারিতা

Juifa Parveen
  • আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আধার কার্ডের আদলে আপার কার্ড। দেশের সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর তৈরির কথা আগেই জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয়  শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে। ২০২০ সালের ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি-তেই এই পড়ুয়াদের জন্য আইডি কার্ড তৈরি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

 

সেই কার্ডের নাম আপার আইডি কার্ড । যার পুরো নাম অটোমেটেড পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি। এই কার্ডের মাধ্যমে কোনও ছাত্রের নাম, ঠিকানা-সহ বিভিন্ন শ্রেণির রেজ়াল্ট এবং স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানা সহজ বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। আপার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৩১ কোটি ৫৬ লক্ষ পড়ুয়া আপার আইডি-র জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে।

 

বেনিফিটস  

১) একজন শিক্ষার্থীর সমস্ত তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষণ করবে এই ‘স্বয়ংক্রিয় স্থায়ী অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি’।

২) একজন পড়ুয়ার যাবতীয় তথ্য যেমন শিশুরা কত শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে, কোন পুরস্কার পেয়েছে, কোন ডিগ্রি পেয়েছে, তারা বৃত্তি পেয়েছে কি না। যদি তা পেয়েছে, তাহলে কত এবং থেকে। কোথায়, কোন ক্লাসে, কত নম্বর পেয়েছে ইত্যাদি সব তথ্য এই কার্ডে ডিজিটালভাবে স্থানান্তর করা হবে।

৩) পড়ুয়াদের অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার মনিটরিং করা খুব সহজ হবে।

৪) আপার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকবে আধার কার্ড। অর্থাৎ এডুকেশনাল ডকুমেন্টের পাশাপাশি পড়ুয়াদের পরিচয়পত্রের কাজও করবে এই কার্ড।

 অপার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া?

একটি বৈধ আধার কার্ড থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি ‘ডিজিলকার’-এ একটি  অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন হবে। শিক্ষার্থীদের স্কুল বা কলেজ থেকে ‘আপার কার্ড’ দেওয়া হবে। শিশুদের অভিভাবকদের সম্মতিতে এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হবে। অভিভাবকেরা যে কোনও সময় তাঁদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারেন।

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আধারের আদলে আপার কার্ড! জেনে নিন কার্যকারিতা

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আধার কার্ডের আদলে আপার কার্ড। দেশের সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর তৈরির কথা আগেই জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয়  শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে। ২০২০ সালের ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি-তেই এই পড়ুয়াদের জন্য আইডি কার্ড তৈরি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

 

সেই কার্ডের নাম আপার আইডি কার্ড । যার পুরো নাম অটোমেটেড পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি। এই কার্ডের মাধ্যমে কোনও ছাত্রের নাম, ঠিকানা-সহ বিভিন্ন শ্রেণির রেজ়াল্ট এবং স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানা সহজ বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। আপার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৩১ কোটি ৫৬ লক্ষ পড়ুয়া আপার আইডি-র জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে।

 

বেনিফিটস  

১) একজন শিক্ষার্থীর সমস্ত তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষণ করবে এই ‘স্বয়ংক্রিয় স্থায়ী অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি’।

২) একজন পড়ুয়ার যাবতীয় তথ্য যেমন শিশুরা কত শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে, কোন পুরস্কার পেয়েছে, কোন ডিগ্রি পেয়েছে, তারা বৃত্তি পেয়েছে কি না। যদি তা পেয়েছে, তাহলে কত এবং থেকে। কোথায়, কোন ক্লাসে, কত নম্বর পেয়েছে ইত্যাদি সব তথ্য এই কার্ডে ডিজিটালভাবে স্থানান্তর করা হবে।

৩) পড়ুয়াদের অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার মনিটরিং করা খুব সহজ হবে।

৪) আপার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকবে আধার কার্ড। অর্থাৎ এডুকেশনাল ডকুমেন্টের পাশাপাশি পড়ুয়াদের পরিচয়পত্রের কাজও করবে এই কার্ড।

 অপার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া?

একটি বৈধ আধার কার্ড থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি ‘ডিজিলকার’-এ একটি  অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন হবে। শিক্ষার্থীদের স্কুল বা কলেজ থেকে ‘আপার কার্ড’ দেওয়া হবে। শিশুদের অভিভাবকদের সম্মতিতে এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হবে। অভিভাবকেরা যে কোনও সময় তাঁদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারেন।