আবু ধাবিতে ইসরাইলি দূতাবাস উদ্বোধন করলেন ইহুদি বিদেশমন্ত্রী

- আপডেট : ১ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার
- / 0
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আনুষ্ঠানিক সফরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী গিয়ে ইসরাইলের প্রথম বিদেশমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাস গড়লেন ইয়াইর লাপিদ। মঙ্গলবার রাজধানী আবু ধাবিতে ইসরাইলের একটি দূতাবাস উদ্বোধন করেছেন তিনি। এই দূতাবাসটি হল কোনও গাল্ফ রাষ্ট্রে উদ্বোধন করা ইসরাইলের প্রথম দূতাবাস। এক ট্যুইট বার্তায় লাপিদ আমিরশাহীর সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান উন্নয়নমন্ত্রী নূরা আল-কাবিরের সঙ্গে দূতাবাস ভবনের সামনে ফিতে কাটার একটি ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য আমাদের বাড়ি, আমরা অন্য কোথাও যেতে চাই না। আমরা এখানে থাকতে এসেছি। ইসরাইল প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিতে বিশ্বাসী, আমরা এ অঞ্চলের সব রাষ্ট্রকে এ বার্তাটিই দিতে চাই। আমরা চাই সবাই এটা বুঝুক এবং আমাদের সঙ্গে কথা বলুক।’
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে ২০২০ সালে ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এরপর চলতি বছরের শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাজধানী আবু ধাবিতে দূতাবাস প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয়। ইসরাইলের বিদেশমন্ত্রী মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই দূতাবাসটিই উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তৎকালীন প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারে ও ইরানের উন্নয়ন রুখতে আমিরশাহী, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর মতো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তিতে সই করে। এর মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করা দেশগুলো শুধুমাত্র ব্যবসা ও অর্থের জন্য ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার যুদ্ধকে অমান্য করে ও মুসলিম জাহানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। এ নিয়ে অনেক তর্ক ও সমালোচনা জারি রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। তবে সেসবে কান না দিয়ে ইসরাইল নির্লজ্জের মতোই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। উদ্দেশ্যে খানিক সফলও হয়েছে তারা। আমিরশাহীর রাজধানীর বুকে দূতাবাস উদ্বোধন করে দিয়েছে তেল আবিব।
এ দিকে, আবু ধাবি সফররত ইহুদি বিদেশমন্ত্রী লাপিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আমিরশাহির বিদেশমন্ত্রী শেইখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নায়হানের। এই দুই রাষ্ট্রের প্রতিনিধির মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা মজুবত করা ও বাণিজ্য নিয়ে কথা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে এদিন। আমিরশাহীতে ইসরাইলি দূতাবাস প্রতিষ্ঠা নিয়ে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ’আমরা ইসরাইল ও আমিরশাহীকে নিয়ে সব দিকে মিত্রতা বজায় রেখে একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যত তৈরি করব মধ্যপ্রাচ্যের সব মানুষের জন্য।’