১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কওম ও দেশের জন্য কাজ করছে খিলাফত কমিটি: জাভেদ খান

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, সোমবার
  • / 0

আসিফ রেজা আনসারী

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর উসমানীয় খিলাফত নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। সেই খিলাফত পুনরুদ্ধার করার জন্য শওকত আলি– মুহাম্মদ আলি জওহর ও মৌলানা আবুল কালাম আজাদরা আন্দোলন গড়ে তোলেন। গান্ধিজিও সেই আন্দোলনে শামিল হন। অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী সেই আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। মুম্বাই–  কলকাতা– ঢাকা– পটনা প্রভৃতি স্থানে খিলাফত কমিটি গঠিত হয়। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় একশো বছর। ইতিহাসের ধারা বেয়ে কাজের ধরন বদলেছে– তবে টিকে আছে শতাব্দি প্রাচীন সংস্থাটি। তারা মুসলিম সমাজের পাশাপাশি সব সম্প্রদায়ের জন্যই কাজ করছেন। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন– কলকাতা খিলাফত কমিটির প্রেসিডেন্ট তথা রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমদ খান।

এ দিন জাভেদ খান বলেন,  খিলাফত কমিটি  আগে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং নানান সামাজিক কাজ করেছে। এখনও আমরা সমাজসেবামূলক কাজ করছি। আমরা রেড রোডে দুই ঈদের নামায-এর আয়োজন করে থাকি। কওম ও দেশের জন্য সর্বদা আমরা কাজ করব। তিনি আরও জানান– খানবাড়ি লেনে নয়া অফিস তৈরি হলে ডব্লিউবিসিএস–  আইএএস পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার করা হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্যেও কাজ করছে খিলাফত কমিটি।

ত্রাণ বিতরণ নিয়ে জাভেদ খান বলেন– আমরা কারও কাছে চাঁদা না তুলেও প্রায় ১৫ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী ইয়াস দুর্গতদের জন্য পাঠাচ্ছি। আগামী দিনেও আমরা অসহায়দের পাশে দাঁড়াব। তিনি আরও জানান– আগামী ৩ তারিখ ডাঃ কাফিল খানের সহযোগিতায় তপশিয়াতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে জাভেদ খান বলেন,  করোনার জন্য আমরা মানুষকে সচেতন করছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রেড রোডে ঈদের নামায বন্ধ রেখেছি। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জিততে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত,  কলকাতা খিলাফত কমিটি ইয়াস দুর্গতদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ–  সোমবার সকালে ত্রাণ হিসাবে চাল– ডাল– ভোজ্য তেল– আলু– জামা-কাপড়– বাচ্চাদের জন্য পোশাক– ত্রিপল ইত্যাদি নিয়ে রওনা দেবেন খিলাফত কমিটির স্বেচ্ছাসেবীরা। ত্রাণ দেওয়া হবে রামগঙ্গা– ঢোলাহাট প্রভৃতি অঞ্চলে। আপাতত এক হাজার রিলিফ কিট বিতরণ করা হবে।

এ নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেন খিলাফত কমিটির সভাপতি জাভেদ আহমদ খান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ– সহ-সভাপতি আবদুল মাতিন– এম এন হক–  সহ-সম্পাদক মল্লিক মুহাম্মদ ইশহাক। এ ছাড়াও মনসুর হাসান– নাফিস– আসিফ আনসারী– সারোয়ার হাসান প্রমুখ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কওম ও দেশের জন্য কাজ করছে খিলাফত কমিটি: জাভেদ খান

আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, সোমবার

আসিফ রেজা আনসারী

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর উসমানীয় খিলাফত নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। সেই খিলাফত পুনরুদ্ধার করার জন্য শওকত আলি– মুহাম্মদ আলি জওহর ও মৌলানা আবুল কালাম আজাদরা আন্দোলন গড়ে তোলেন। গান্ধিজিও সেই আন্দোলনে শামিল হন। অবিভক্ত ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী সেই আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। মুম্বাই–  কলকাতা– ঢাকা– পটনা প্রভৃতি স্থানে খিলাফত কমিটি গঠিত হয়। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় একশো বছর। ইতিহাসের ধারা বেয়ে কাজের ধরন বদলেছে– তবে টিকে আছে শতাব্দি প্রাচীন সংস্থাটি। তারা মুসলিম সমাজের পাশাপাশি সব সম্প্রদায়ের জন্যই কাজ করছেন। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন– কলকাতা খিলাফত কমিটির প্রেসিডেন্ট তথা রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমদ খান।

এ দিন জাভেদ খান বলেন,  খিলাফত কমিটি  আগে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং নানান সামাজিক কাজ করেছে। এখনও আমরা সমাজসেবামূলক কাজ করছি। আমরা রেড রোডে দুই ঈদের নামায-এর আয়োজন করে থাকি। কওম ও দেশের জন্য সর্বদা আমরা কাজ করব। তিনি আরও জানান– খানবাড়ি লেনে নয়া অফিস তৈরি হলে ডব্লিউবিসিএস–  আইএএস পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার করা হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্যেও কাজ করছে খিলাফত কমিটি।

ত্রাণ বিতরণ নিয়ে জাভেদ খান বলেন– আমরা কারও কাছে চাঁদা না তুলেও প্রায় ১৫ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী ইয়াস দুর্গতদের জন্য পাঠাচ্ছি। আগামী দিনেও আমরা অসহায়দের পাশে দাঁড়াব। তিনি আরও জানান– আগামী ৩ তারিখ ডাঃ কাফিল খানের সহযোগিতায় তপশিয়াতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে জাভেদ খান বলেন,  করোনার জন্য আমরা মানুষকে সচেতন করছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রেড রোডে ঈদের নামায বন্ধ রেখেছি। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জিততে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত,  কলকাতা খিলাফত কমিটি ইয়াস দুর্গতদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ–  সোমবার সকালে ত্রাণ হিসাবে চাল– ডাল– ভোজ্য তেল– আলু– জামা-কাপড়– বাচ্চাদের জন্য পোশাক– ত্রিপল ইত্যাদি নিয়ে রওনা দেবেন খিলাফত কমিটির স্বেচ্ছাসেবীরা। ত্রাণ দেওয়া হবে রামগঙ্গা– ঢোলাহাট প্রভৃতি অঞ্চলে। আপাতত এক হাজার রিলিফ কিট বিতরণ করা হবে।

এ নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেন খিলাফত কমিটির সভাপতি জাভেদ আহমদ খান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ– সহ-সভাপতি আবদুল মাতিন– এম এন হক–  সহ-সম্পাদক মল্লিক মুহাম্মদ ইশহাক। এ ছাড়াও মনসুর হাসান– নাফিস– আসিফ আনসারী– সারোয়ার হাসান প্রমুখ।