১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ যুগের ‘কুম্ভকর্ণ’! বছরে ৩০০ দিন ঘুমিয়ে থাকেন এই ব্যক্তি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২১, শনিবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যদিও বেশিরভাগ মানুষ  সাধারণত দিনে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমায়, কিন্তু রাজস্থানের বাসিন্দা বছর ৪২-এর পুরখারাম বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩০০ দিনই ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন। আর এতেই ‘কুম্ভকর্ণ’  হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। জানা যায় তিনি ২৩ বছর আগে প্রথম এক বিরল রোগে অ্যাক্সিস হাইপারসোমনিয়াতে আক্রান্ত হন। এতে আক্রান্ত মানুষজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঘুমোতে থাকেন। ২৩ বছর আগে এই সমস্যা শুরু হয়েছিল। এখন একটানা ২৫ দিন ঘুমিয়ে থাকেন পুরখারাম। রোজগারের জন্য একটি মুদি দোকানও খুলেছিলেন। তাঁর ঘুমের রোগের কারণে সেটিও বছরের বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। এমনও হয়েছে দোকানে বসে থাকতে থাকতেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। সে ঘুম ভাঙানোর সাধ্য কারও নেই।যা তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপনে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে। আর এই অসুস্থতার কারণে পুরখারাম মাসে মাত্র পাঁচ দিন তাঁর মুদি দোকান কাজ করতে পারেন। একবার সে ঘুমোলে তার পক্ষে জেগে ওঠা মুশকিল হয়ে যায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রথমদিকে পুরখারাম ৭-৮ দিনের ঘুমোতেন কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর এই সমস্যা বাড়তে থাকে। এখন তিনি একযোগে ২০ থেকে ২৫ দিনের জন্য ঘুমান। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ঘুমের অবস্থায় স্নান ও খাওয়ান। বহু ডাক্তার দেখানো হলেও এই রোগের নিরাময় হয়নি বলেও পরিবারের লোকেরা জানায়।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এ যুগের ‘কুম্ভকর্ণ’! বছরে ৩০০ দিন ঘুমিয়ে থাকেন এই ব্যক্তি

আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২১, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যদিও বেশিরভাগ মানুষ  সাধারণত দিনে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমায়, কিন্তু রাজস্থানের বাসিন্দা বছর ৪২-এর পুরখারাম বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩০০ দিনই ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন। আর এতেই ‘কুম্ভকর্ণ’  হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। জানা যায় তিনি ২৩ বছর আগে প্রথম এক বিরল রোগে অ্যাক্সিস হাইপারসোমনিয়াতে আক্রান্ত হন। এতে আক্রান্ত মানুষজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঘুমোতে থাকেন। ২৩ বছর আগে এই সমস্যা শুরু হয়েছিল। এখন একটানা ২৫ দিন ঘুমিয়ে থাকেন পুরখারাম। রোজগারের জন্য একটি মুদি দোকানও খুলেছিলেন। তাঁর ঘুমের রোগের কারণে সেটিও বছরের বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। এমনও হয়েছে দোকানে বসে থাকতে থাকতেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। সে ঘুম ভাঙানোর সাধ্য কারও নেই।যা তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপনে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে। আর এই অসুস্থতার কারণে পুরখারাম মাসে মাত্র পাঁচ দিন তাঁর মুদি দোকান কাজ করতে পারেন। একবার সে ঘুমোলে তার পক্ষে জেগে ওঠা মুশকিল হয়ে যায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রথমদিকে পুরখারাম ৭-৮ দিনের ঘুমোতেন কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর এই সমস্যা বাড়তে থাকে। এখন তিনি একযোগে ২০ থেকে ২৫ দিনের জন্য ঘুমান। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ঘুমের অবস্থায় স্নান ও খাওয়ান। বহু ডাক্তার দেখানো হলেও এই রোগের নিরাময় হয়নি বলেও পরিবারের লোকেরা জানায়।