১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরাফাতের ময়দানে ‘লাব্বায়েক আল্লাহুমা লাব্বায়েক’

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, সোমবার
  • / 0

তাঁবুর নগরী মিনা।কাবাশরীফ থেকে হাজীরা সমবেত হয়েছেন মিনায়। করোনা পরিস্থিতিতে ৩০ লক্ষ হাজীর পরিবর্তে আরাফতের ময়দানে এ বছর সমবেত হবেন ৬০ হাজার আল্লাহর মেহমান। সকলের মুখে ধবনি-'লাব্বায়েক, আল্লাহুমা' লাব্বায়েক


পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:­ রবিবার মক্কা থেকে পূর্বে মিনায় অবস্থানের মাধ্যমে এই বছর হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন হাজীরা।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এই বছরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভাইরাস সংক্রমণে সতর্কতায় এই বছর করোনা প্রতিরোধী টিকা নেওয়া মাত্র ৬০ হাজার আবেদনকারী হজের অনুমতি পেয়েছেন। সউদি আরবের বাইরে থেকে এই বছরও কোনও আবেদনকারীকে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধু ১৮-৬৫ বছর বয়সি সউদি নাগরিক ও দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
এই বছর হজ পালনে হাজীদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে– শনিবার মক্কায় পৌঁছানোর পরপরই হাজীরা কাবায় তাওয়াফ সেরে নিয়েছেন। হজের পুরো সময় হাজীরা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব রক্ষা ও ফেস মাস্ক পরার নিয়ম মেনে চলবেন।
তাওয়াফের পর তারা মসজিদুল হারামে নামায আদায় করেন এবং জমজমের পানি পান করেন। মসজিদুল হারামে স্বয়ংক্রিয় সাদা-কালো রোবট ঘুরে ঘুরে হাজীদের মাঝে জমজমের বোতলজাত পানি সরবরাহ করছে। মোট ২০টি রোবট হাজীদের পানি সরবরাহ করার জন্য বর্তমানে মসজিদুল হারামে নিযুক্ত রয়েছে।
জমজমের পানি পানের পর– হাজীরা সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সাতবার সায়ী (প্রদক্ষিণ) করেন রবিবার সারাদিন হাজীরা মক্কায় থাকার পর মিনায় গিয়ে অবস্থান করেন। এই বছর দুই শ, বাসে করে হাজীদের মসজিদুল হারাম থেকে মিনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৫ হাজার হাজী মিনার তাঁবুতে এসে গিয়েছেন।
মিনায় পৌঁছানোর পরপর তাদের স্থান নির্ধারণের জন্য হাজীদের টোকেন দেওয়া হচ্ছে– যাতে টোকেন অনুসারে নির্ধারিত অবস্থানে গিয়ে হাজীরা ভিড় এড়িয়ে হজ পালন করতে পারেন।
সোমবার সকালে হাজীরা আরাফাতের ময়দানে হাজির হবেন এবং সেখানে সারাদিন অবস্থান করে ইবাদতে সময় কাটাবেন। এই ময়দানেই আল্লাহর শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ স. হজের বিদায় ভাষণ দিয়েছিলেন। ৩০ লক্ষের স্থানে ৬০ হাজার হাজী সমবেত হলেও হজের নিয়মানুবর্তিতা পালনে ভাবাবেগে এতটুকুও ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়নি।
সন্ধ্যায় হাজীরা হজের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় আরাফাত ও মিনার মাঝামাঝি মুজদালিফায় গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন। সেখানে তারা মিনায় জামরাতে শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য নুড়িপাথর সংগ্রহ করবেন।
শয়তানকে প্রতীকি পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজীরা। জামরায় ভিড় এড়াতে নির্ধারিত দূরত্বে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে– যেখানে দাঁড়িয়ে হাজীরা পাথর নিক্ষেপ করবেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আরাফাতের ময়দানে ‘লাব্বায়েক আল্লাহুমা লাব্বায়েক’

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, সোমবার


পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:­ রবিবার মক্কা থেকে পূর্বে মিনায় অবস্থানের মাধ্যমে এই বছর হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন হাজীরা।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এই বছরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভাইরাস সংক্রমণে সতর্কতায় এই বছর করোনা প্রতিরোধী টিকা নেওয়া মাত্র ৬০ হাজার আবেদনকারী হজের অনুমতি পেয়েছেন। সউদি আরবের বাইরে থেকে এই বছরও কোনও আবেদনকারীকে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধু ১৮-৬৫ বছর বয়সি সউদি নাগরিক ও দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
এই বছর হজ পালনে হাজীদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে– শনিবার মক্কায় পৌঁছানোর পরপরই হাজীরা কাবায় তাওয়াফ সেরে নিয়েছেন। হজের পুরো সময় হাজীরা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব রক্ষা ও ফেস মাস্ক পরার নিয়ম মেনে চলবেন।
তাওয়াফের পর তারা মসজিদুল হারামে নামায আদায় করেন এবং জমজমের পানি পান করেন। মসজিদুল হারামে স্বয়ংক্রিয় সাদা-কালো রোবট ঘুরে ঘুরে হাজীদের মাঝে জমজমের বোতলজাত পানি সরবরাহ করছে। মোট ২০টি রোবট হাজীদের পানি সরবরাহ করার জন্য বর্তমানে মসজিদুল হারামে নিযুক্ত রয়েছে।
জমজমের পানি পানের পর– হাজীরা সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সাতবার সায়ী (প্রদক্ষিণ) করেন রবিবার সারাদিন হাজীরা মক্কায় থাকার পর মিনায় গিয়ে অবস্থান করেন। এই বছর দুই শ, বাসে করে হাজীদের মসজিদুল হারাম থেকে মিনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৫ হাজার হাজী মিনার তাঁবুতে এসে গিয়েছেন।
মিনায় পৌঁছানোর পরপর তাদের স্থান নির্ধারণের জন্য হাজীদের টোকেন দেওয়া হচ্ছে– যাতে টোকেন অনুসারে নির্ধারিত অবস্থানে গিয়ে হাজীরা ভিড় এড়িয়ে হজ পালন করতে পারেন।
সোমবার সকালে হাজীরা আরাফাতের ময়দানে হাজির হবেন এবং সেখানে সারাদিন অবস্থান করে ইবাদতে সময় কাটাবেন। এই ময়দানেই আল্লাহর শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ স. হজের বিদায় ভাষণ দিয়েছিলেন। ৩০ লক্ষের স্থানে ৬০ হাজার হাজী সমবেত হলেও হজের নিয়মানুবর্তিতা পালনে ভাবাবেগে এতটুকুও ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়নি।
সন্ধ্যায় হাজীরা হজের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় আরাফাত ও মিনার মাঝামাঝি মুজদালিফায় গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন। সেখানে তারা মিনায় জামরাতে শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য নুড়িপাথর সংগ্রহ করবেন।
শয়তানকে প্রতীকি পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজীরা। জামরায় ভিড় এড়াতে নির্ধারিত দূরত্বে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে– যেখানে দাঁড়িয়ে হাজীরা পাথর নিক্ষেপ করবেন।