১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাধ্যমিকে ৬৯৭ পাওয়া বীরভূমের আরমিন চায় চিকিৎসক হয়ে দুঃস্থদের সেবা করতে

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার
  • / 0

কৌশিক সালুই, বীরভূম – ভালো রোজগার করে সন্তানদেরকে সুশিক্ষিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে গ্রাম থেকে শহরে এসেছিলেন বাবা। আর বাবার সেই স্বপ্নকে সার্থক করতে ছেলেমেয়েরাও সাথ দিয়েছে। এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায়  মোট ৭৯ জন সর্বোচ্চ প্রাপকের সঙ্গে রয়েছে আরমিন আক্তার।  পরিবারের ইচ্ছা কে মর্যাদা দিয়ে মেয়ে ডাক্তার হয়ে সেই গ্রামে ফিরে এলাকার দুস্থ অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে চায়।   

এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৯৭ নাম্বার নিয়ে ৭৯ জন প্রথম স্থানাধিকারীর মধ্যে রয়েছে আরমিনও। উল্লেখ্য করোনার কারণে চলতি বছরে গ্রহণ করা হয়নি মাধ্যমিক পরীক্ষা। আরমিনের বাড়ি বীরভূমের সিউড়ি শহরে। পাইকপাড়া সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দির উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্রী সে। বাবা মহম্মদ মুরাদ আলি। পেশায় তিনি কাপড়ের ব্যবসায়ী। মা নাজমা বেগম গৃহবধূ। দুই সন্তানের মধ্যে আরমিন ছোট।

দাদা ইঞ্জিনিয়ার হলেও সম্প্রতি ভারতীয় ডাক বিভাগে চাকরি পেয়েছে। ওই পরিবারের আদি বাড়ি বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানা এলাকার সেকেড্ডা গ্রামে। বেশ কয়েক বছর আগে ভাল রোজগার এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য মুরাদ আলি সিউড়ি শহরে চলে আসেন। এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরমিন অংক, জীব বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, ইতিহাস, ভূগোল বিষয়ে ১০০ করে নাম্বার পেয়েছে বাংলাতে ৯৮ এবং ইংরেজিতে ৯৯। 

মেয়ের পাশাপাশি এই সাফল্যকে পরিবার সমানভাবে কৃতিত্ব দিতে চায় স্কুলকেও। পরিবারের ইচ্ছা কে গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। ডাক্তার হয়ে সেকেন্ডে গ্রামে গিয়ে এলাকার দুস্থ অসহায় মানুষদের কাছে চিকিৎসার পরিসেবা তুলে দেওয়ার ইচ্ছা আছে তার । বাবা মুরাদ আলি বলেন,” ভালো করে সন্তানদের সুশিক্ষিত করতে গ্রাম থেকে শহরে এসে ছিলাম। আমার মেয়ে এবছরের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আমাদের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে ও ডাক্তার হয়ে গ্রামের দুস্থ এবং অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে চায়”।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাধ্যমিকে ৬৯৭ পাওয়া বীরভূমের আরমিন চায় চিকিৎসক হয়ে দুঃস্থদের সেবা করতে

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম – ভালো রোজগার করে সন্তানদেরকে সুশিক্ষিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে গ্রাম থেকে শহরে এসেছিলেন বাবা। আর বাবার সেই স্বপ্নকে সার্থক করতে ছেলেমেয়েরাও সাথ দিয়েছে। এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায়  মোট ৭৯ জন সর্বোচ্চ প্রাপকের সঙ্গে রয়েছে আরমিন আক্তার।  পরিবারের ইচ্ছা কে মর্যাদা দিয়ে মেয়ে ডাক্তার হয়ে সেই গ্রামে ফিরে এলাকার দুস্থ অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে চায়।   

এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৯৭ নাম্বার নিয়ে ৭৯ জন প্রথম স্থানাধিকারীর মধ্যে রয়েছে আরমিনও। উল্লেখ্য করোনার কারণে চলতি বছরে গ্রহণ করা হয়নি মাধ্যমিক পরীক্ষা। আরমিনের বাড়ি বীরভূমের সিউড়ি শহরে। পাইকপাড়া সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দির উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্রী সে। বাবা মহম্মদ মুরাদ আলি। পেশায় তিনি কাপড়ের ব্যবসায়ী। মা নাজমা বেগম গৃহবধূ। দুই সন্তানের মধ্যে আরমিন ছোট।

দাদা ইঞ্জিনিয়ার হলেও সম্প্রতি ভারতীয় ডাক বিভাগে চাকরি পেয়েছে। ওই পরিবারের আদি বাড়ি বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানা এলাকার সেকেড্ডা গ্রামে। বেশ কয়েক বছর আগে ভাল রোজগার এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য মুরাদ আলি সিউড়ি শহরে চলে আসেন। এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরমিন অংক, জীব বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, ইতিহাস, ভূগোল বিষয়ে ১০০ করে নাম্বার পেয়েছে বাংলাতে ৯৮ এবং ইংরেজিতে ৯৯। 

মেয়ের পাশাপাশি এই সাফল্যকে পরিবার সমানভাবে কৃতিত্ব দিতে চায় স্কুলকেও। পরিবারের ইচ্ছা কে গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। ডাক্তার হয়ে সেকেন্ডে গ্রামে গিয়ে এলাকার দুস্থ অসহায় মানুষদের কাছে চিকিৎসার পরিসেবা তুলে দেওয়ার ইচ্ছা আছে তার । বাবা মুরাদ আলি বলেন,” ভালো করে সন্তানদের সুশিক্ষিত করতে গ্রাম থেকে শহরে এসে ছিলাম। আমার মেয়ে এবছরের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আমাদের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে ও ডাক্তার হয়ে গ্রামের দুস্থ এবং অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে চায়”।