২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে মাস্ক

Sumana Puber Kalom
  • আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 0

ঢুকতে পেল না রয়টার্স-এপি

ওয়াশিংটন: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রবেশ করতে দেওয়া হল না বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি), রয়টার্স-সহ আরও কিছু সংবাদমাধ্যমকে। হোয়াইট হাউজ মিডিয়া কভারেজ নিয়ে নতুন যে নীতি গ্রহণ করেছে, সেটির অংশ হিসেবেই এসব সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক-প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

হোয়াইট হাউজে ‘পুল সিস্টেমে’ নির্দিষ্ট টেলিভিশন, রেডিয়ো, বার্তাসংস্থা, পত্রিকা এবং ফটো সাংবাদিকদের ইভেন্ট কভার করতে দেওয়া হয়। এরপর তারা অন্যদের সঙ্গে এসব ইভেন্টের তথ্য আদানপ্রদান করে। এরমধ্যে এপি, রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ স্থায়ীভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইভেন্ট কভার করে থাকে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা বিশ্বব্যাপী মার্কিন প্রেসিডেন্টের খবর পৌঁছে দেয়। ফলে তাদের প্রতিনিধিদের ঢুকতে না দেওয়া ঠিক হয়নি।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, ওভাল অফিসের মতো ছোট জায়গায় কোন কোন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিতের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে সেটি ঠিক করবে হোয়াইট হাউজ। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর সংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছিলেন মেক্সিকো উপসাগরের নাম পালটে ‘গালফ অফ আমেরিকা’ লিখতে। কিন্তু এপি-র তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা এই নির্দেশ মানবে না, পুরনো নামই ব্যবহার করবে। তারপর হোয়াইট হাউজে তাঁদের সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতেই আদালতে যায় এপি। তবে মার্কিন আদালত তাঁদের আর্জি খারিজ করে দেয়।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের আকার (জনবল ও খরচ) ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে নিজ প্রশাসনের মনোযোগের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা খুব সামান্য কথাই যোগ করেন। এর বদলে আলোচনায় প্রাধান্য পায় সরকারের খরচ কমানোর প্রচেষ্টার বিষয়টি, যাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইলন মাস্ক। যদিও তিনি মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য নন। আলোচনায় অংশ নিয়ে মাস্ক নিজেকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন ‘নগণ্য প্রযুক্তিগত সহায়তাকারী’ হিসেবে তুলে ধরেন। এ দিন ইলন মাস্ক মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেছেন, ব্যয় উল্লেখ করার মতো না কমালে ‘যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে যাবে’।

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্রাম্প মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে মাস্ক

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

ঢুকতে পেল না রয়টার্স-এপি

ওয়াশিংটন: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রবেশ করতে দেওয়া হল না বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি), রয়টার্স-সহ আরও কিছু সংবাদমাধ্যমকে। হোয়াইট হাউজ মিডিয়া কভারেজ নিয়ে নতুন যে নীতি গ্রহণ করেছে, সেটির অংশ হিসেবেই এসব সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক-প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

হোয়াইট হাউজে ‘পুল সিস্টেমে’ নির্দিষ্ট টেলিভিশন, রেডিয়ো, বার্তাসংস্থা, পত্রিকা এবং ফটো সাংবাদিকদের ইভেন্ট কভার করতে দেওয়া হয়। এরপর তারা অন্যদের সঙ্গে এসব ইভেন্টের তথ্য আদানপ্রদান করে। এরমধ্যে এপি, রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ স্থায়ীভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইভেন্ট কভার করে থাকে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা বিশ্বব্যাপী মার্কিন প্রেসিডেন্টের খবর পৌঁছে দেয়। ফলে তাদের প্রতিনিধিদের ঢুকতে না দেওয়া ঠিক হয়নি।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, ওভাল অফিসের মতো ছোট জায়গায় কোন কোন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিতের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে সেটি ঠিক করবে হোয়াইট হাউজ। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর সংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দাবি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছিলেন মেক্সিকো উপসাগরের নাম পালটে ‘গালফ অফ আমেরিকা’ লিখতে। কিন্তু এপি-র তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা এই নির্দেশ মানবে না, পুরনো নামই ব্যবহার করবে। তারপর হোয়াইট হাউজে তাঁদের সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতেই আদালতে যায় এপি। তবে মার্কিন আদালত তাঁদের আর্জি খারিজ করে দেয়।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের আকার (জনবল ও খরচ) ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে নিজ প্রশাসনের মনোযোগের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা খুব সামান্য কথাই যোগ করেন। এর বদলে আলোচনায় প্রাধান্য পায় সরকারের খরচ কমানোর প্রচেষ্টার বিষয়টি, যাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইলন মাস্ক। যদিও তিনি মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য নন। আলোচনায় অংশ নিয়ে মাস্ক নিজেকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন ‘নগণ্য প্রযুক্তিগত সহায়তাকারী’ হিসেবে তুলে ধরেন। এ দিন ইলন মাস্ক মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেছেন, ব্যয় উল্লেখ করার মতো না কমালে ‘যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে যাবে’।