১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোদিবাবু, পেট্রোল বেকাবু: অভিষেক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২১, সোমবার
  • / 0

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পেট্রোল ও ডিজেলের অগ্নিমূল্য নিয়ে রবিবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালে নিজেরই করা একটি ট্যুইট ফের রিট্যুইট করে লিখলেন, খুব কিছু বদল হয়নি। সেই দোষ দেওয়ার পালা এখনও চলছে। ক্রমাগত শুল্ক বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।’

২০২০ সালে পেট্রোপণ্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা শুল্ক আদায় করেছে তারও হিসাব এ দিন তুলে ধরেছেন অভিষেক।

এ দিন অভিষেক ট্যুইটারে লেখেন, ‘সাধারণ মানুষের রোজকার জীবনযাপন আরও কঠিন করে তোলার ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি। যার সব থেকে বড় উদাহরণ পেট্রোপণ্যের দামের রেকর্ড বৃদ্ধি। আর এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা অতীতের থেকে খুব একটা বেশি কিছু বদলায়নি। দেশবাসীর চাহিদার দিকে নজর না দিয়ে দোষারোপের রাজনীতি চলছে।’

এর সঙ্গে অভিষেক হ্যাশট্যাগ দেন মোদিবাবু পেট্রোল বেকাবু’। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও কেন্দ্রকে আক্রমণ করা হয়েছে। তৃণমূলের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে সমস্যা হাজার কিন্তু পকেট ফাঁকা। কেন্দ্র গরিবের সরকার হওয়ার মিথ্যা দাবি করে। দেশজুড়ে পেট্রোল ডিজেলের দাম লাফিয়ে বেড়ে চলেছে।’

পিএম কোয়ার্স তহবিল নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল লিখেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এবার উচিত দেশবাসীর দিকে নজর দেওয়া।’

এ দিকে তৃণমূলের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন। তিনি বলেছেন, যেহেতু পেট্রোল ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে তাই রাজ্য সরকারের উচিত লোকাল ট্রেন মেট্রো চালানোয় অনুমতি দেওয়া। তাহলে সাধারণ মানুষের অর্থিক ভার লাঘব হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ছে বলেই পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে দেশের বাজারে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু করার নেই। যদিও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন– আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম ১ টাকা বাড়লে দেশের বাজারে তার দাম হয় ২ টাকা ২৫ পয়সা। এই বাড়তি ১ টাকা ২৫ পয়সা সরকার শুল্ক বা কর হিসেবে নেয়। এই শুল্কে কিছুটা ছাড় দিলেই অনেকটাই স্বস্তি ফিরবে।

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেন, ‘মানছি জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এক বছরে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি।’       

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মোদিবাবু, পেট্রোল বেকাবু: অভিষেক

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২১, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পেট্রোল ও ডিজেলের অগ্নিমূল্য নিয়ে রবিবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালে নিজেরই করা একটি ট্যুইট ফের রিট্যুইট করে লিখলেন, খুব কিছু বদল হয়নি। সেই দোষ দেওয়ার পালা এখনও চলছে। ক্রমাগত শুল্ক বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।’

২০২০ সালে পেট্রোপণ্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা শুল্ক আদায় করেছে তারও হিসাব এ দিন তুলে ধরেছেন অভিষেক।

এ দিন অভিষেক ট্যুইটারে লেখেন, ‘সাধারণ মানুষের রোজকার জীবনযাপন আরও কঠিন করে তোলার ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি। যার সব থেকে বড় উদাহরণ পেট্রোপণ্যের দামের রেকর্ড বৃদ্ধি। আর এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা অতীতের থেকে খুব একটা বেশি কিছু বদলায়নি। দেশবাসীর চাহিদার দিকে নজর না দিয়ে দোষারোপের রাজনীতি চলছে।’

এর সঙ্গে অভিষেক হ্যাশট্যাগ দেন মোদিবাবু পেট্রোল বেকাবু’। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও কেন্দ্রকে আক্রমণ করা হয়েছে। তৃণমূলের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে সমস্যা হাজার কিন্তু পকেট ফাঁকা। কেন্দ্র গরিবের সরকার হওয়ার মিথ্যা দাবি করে। দেশজুড়ে পেট্রোল ডিজেলের দাম লাফিয়ে বেড়ে চলেছে।’

পিএম কোয়ার্স তহবিল নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল লিখেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এবার উচিত দেশবাসীর দিকে নজর দেওয়া।’

এ দিকে তৃণমূলের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন। তিনি বলেছেন, যেহেতু পেট্রোল ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে তাই রাজ্য সরকারের উচিত লোকাল ট্রেন মেট্রো চালানোয় অনুমতি দেওয়া। তাহলে সাধারণ মানুষের অর্থিক ভার লাঘব হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ছে বলেই পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে দেশের বাজারে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু করার নেই। যদিও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন– আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম ১ টাকা বাড়লে দেশের বাজারে তার দাম হয় ২ টাকা ২৫ পয়সা। এই বাড়তি ১ টাকা ২৫ পয়সা সরকার শুল্ক বা কর হিসেবে নেয়। এই শুল্কে কিছুটা ছাড় দিলেই অনেকটাই স্বস্তি ফিরবে।

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেন, ‘মানছি জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এক বছরে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি।’