২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশী ছাত্রী মৃত্যু! ‘জাতিবিদ্বেষী’ মন্তব্যের অভিযোগ তুলে দেশ ছাড়ছে নেপালি পড়ুয়ারা

Kibria Ansary
  • আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার
  • / 0

(representational image)

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ছাত্রী মৃত্যুর জের, দেশ ছাড়ছেন একের পর এক নেপালি পড়ুয়ারা। এখনও পর্যন্ত ১৫৯ জন নেপালি পড়ুয়া ভারত ছেড়েছে বলে খবর। রক্সৌল সীমান্ত হয়ে তারা নিজ দেশে ফিরেছেন। নেপালি পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হত। ছাত্রী মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেপালি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করেছে। নিজ দেশে ফিরে এক নেপালি পড়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের উপস্থিতিতেই আমাদের গায়ে হাত তুলেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হত। ছাত্রী মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করেছে। আমরা কেউই সেই কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ বোধ করছি না।’

নেপালি পড়ুয়াদের দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পারসার সহকারী প্রধান জেলা আধিকারিক সুমনকুমার কার্কি। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৫৯ জন পড়ুয়া নেপালে ফিরে গিয়েছেন। এঁরা সকলেই ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন।’

প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ঘর থেকে তৃতীয় বর্ষের এক নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ওড়িশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতেন ওই ছাত্রী। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। ছাত্রী মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে তারা। হস্টেল ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ দেখায় নেপালি ছাত্র-ছাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে হস্টেল থেকে বের করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি তাদের উদ্দেশ্য করে ‘জাতিবিদ্বেষী’ মন্তব্য করা হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খোলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও বিদেশমন্ত্রী আর্জু রানা দেউবাও। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনৈতিক পর্যায়ে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে দুই দেশের সরকার।’

রিপোর্টার

Kibria Ansary

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিদেশী ছাত্রী মৃত্যু! ‘জাতিবিদ্বেষী’ মন্তব্যের অভিযোগ তুলে দেশ ছাড়ছে নেপালি পড়ুয়ারা

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ছাত্রী মৃত্যুর জের, দেশ ছাড়ছেন একের পর এক নেপালি পড়ুয়ারা। এখনও পর্যন্ত ১৫৯ জন নেপালি পড়ুয়া ভারত ছেড়েছে বলে খবর। রক্সৌল সীমান্ত হয়ে তারা নিজ দেশে ফিরেছেন। নেপালি পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হত। ছাত্রী মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেপালি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করেছে। নিজ দেশে ফিরে এক নেপালি পড়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের উপস্থিতিতেই আমাদের গায়ে হাত তুলেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হত। ছাত্রী মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করেছে। আমরা কেউই সেই কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ বোধ করছি না।’

নেপালি পড়ুয়াদের দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পারসার সহকারী প্রধান জেলা আধিকারিক সুমনকুমার কার্কি। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৫৯ জন পড়ুয়া নেপালে ফিরে গিয়েছেন। এঁরা সকলেই ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন।’

প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ঘর থেকে তৃতীয় বর্ষের এক নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ওড়িশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতেন ওই ছাত্রী। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। ছাত্রী মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে তারা। হস্টেল ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ দেখায় নেপালি ছাত্র-ছাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে হস্টেল থেকে বের করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি তাদের উদ্দেশ্য করে ‘জাতিবিদ্বেষী’ মন্তব্য করা হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খোলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও বিদেশমন্ত্রী আর্জু রানা দেউবাও। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনৈতিক পর্যায়ে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে দুই দেশের সরকার।’