১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোভিশিল্ড অনুমোদনের আবেদনই জমা পড়েনি: ইউরোপীয় ইউনিয়ন

Sumana Puber Kalom
  • আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২১, শনিবার
  • / 0

নয়াদিল্লি ১৭ জুলাই: ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোভিশিল্ড নিয়ে বিতর্ক ও জট অব্যাহত রয়েছে। ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সির তরফে জানানো হল, কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য তাদের কাছে কোনও আবেদনই আসেনি সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে।ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোয়ারেন্টিনের ঝক্কি এড়িয়ে মুক্তভাবে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন ইইউ ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেট দেওয়া শুরুর প্রায় দু সপ্তাহ পর ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সি জানাল তাদের কাছে কোন আবেদনই আসেনি।
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সির তরফে জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোভিশিল্ডের গ্রহণযোগ্য কিনা, তা যাচাই করার জন্য প্রস্তুতকারক সংস্থাকে একটি বাণিজ্যিক অনুমোদন আবেদন পাঠাতে হয়। যা এখনও অবধি সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
ইউরোপে তৈরি আস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি কোভিশিল্ডকে কেন অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, নিয়ামক সংস্থার তরফে জানানো হয়, ভ্যাকসিন উৎপাদনের পদ্ধতিতে সামান্যতম ফারাক থাকলেও তার ফলাফলে আকাশ-পাতাল ফারাক তৈরি হতে পারে। সুতরাং একাধিক ধাপ পেরিয়েই কোনও ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এখনও অবধি ইউরোপে কেবল চারটি ভ্যাকসিনই অনুমোদন পেয়েছে, ফাইজ়ার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন, মডার্নার স্পাইকভ্যাকস, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাক্সজ়েরভ্রিয়া ও জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদন না পাওয়ায় কোভিশিল্ড প্রাপক ভারতীয়দের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।

Tag :

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কোভিশিল্ড অনুমোদনের আবেদনই জমা পড়েনি: ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২১, শনিবার

নয়াদিল্লি ১৭ জুলাই: ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোভিশিল্ড নিয়ে বিতর্ক ও জট অব্যাহত রয়েছে। ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সির তরফে জানানো হল, কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য তাদের কাছে কোনও আবেদনই আসেনি সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে।ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোয়ারেন্টিনের ঝক্কি এড়িয়ে মুক্তভাবে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন ইইউ ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেট দেওয়া শুরুর প্রায় দু সপ্তাহ পর ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সি জানাল তাদের কাছে কোন আবেদনই আসেনি।
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সির তরফে জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোভিশিল্ডের গ্রহণযোগ্য কিনা, তা যাচাই করার জন্য প্রস্তুতকারক সংস্থাকে একটি বাণিজ্যিক অনুমোদন আবেদন পাঠাতে হয়। যা এখনও অবধি সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
ইউরোপে তৈরি আস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি কোভিশিল্ডকে কেন অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, নিয়ামক সংস্থার তরফে জানানো হয়, ভ্যাকসিন উৎপাদনের পদ্ধতিতে সামান্যতম ফারাক থাকলেও তার ফলাফলে আকাশ-পাতাল ফারাক তৈরি হতে পারে। সুতরাং একাধিক ধাপ পেরিয়েই কোনও ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এখনও অবধি ইউরোপে কেবল চারটি ভ্যাকসিনই অনুমোদন পেয়েছে, ফাইজ়ার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন, মডার্নার স্পাইকভ্যাকস, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাক্সজ়েরভ্রিয়া ও জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদন না পাওয়ায় কোভিশিল্ড প্রাপক ভারতীয়দের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।