২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি মামলা, রায় স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

Sumana Puber Kalom
  • আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 0

প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি মামলা, রায় স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি সংক্রান্ত মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রধানমন্ত্রীর বিএ ডিগ্রি নিয়ে মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার (সিআইসি) আগেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাচেলর ডিগ্রি (বিএ ডিগ্রি) প্রকাশ করার জন্য। সিআইসি’র সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে পালটা পিটিশন দাখিল করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এই মামলায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী খোদ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
এর আগে গত মাসে এই মামলার শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র কারও কৌতূহল মেটানো তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনের লক্ষ্য নয়। আরটিআই আইনের ধারা অনুসারে, তথ্য জানানোই এই আইনের উদ্দেশ্য হলেও কারও ব্যক্তিগত কৌতূহল নিবৃত্তি এই আইনের উদ্দেশ্য নয়। তবে এ দিন অবশ্য তিনি বলেছেন, আদালতকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সংক্রান্ত নথি দেখাতে প্রস্তুত।
কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট তার রায়দান স্থগিত রেখেছে। এ দিন শুনানি শেষে বিচারপতি শচীন দত্ত বলেন, ‘যুক্তি শোনা হয়েছে। রায় স্থগিত রাখা হল।’
আসলে তথ্য জানার অধিকার (রাইট টু ইনফর্মেশন অ্যাক্ট) আইনে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইসি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পালটা পিটিশন দাখিল করে মেহতা জানান, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের ওই নির্দেশ বাতিল করা উচিত। বৃহস্পতিবারের শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি শচীন দত্ত। এ দিন অবশ্য দিল্লি হাইকোর্টকে সলিসিটর জেনারেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির বিষয়ে আদালতের কাছে পড়ুয়াদের নথি দেখাতে রাজি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মোদির ডিগ্রি বিতর্ককে কেন্দ্র করে এই মামলা দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে হাইকোর্টে। নীরজ কুমার নামে এক আরটিআই কর্মী প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চান। ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব পড়ুয়ার নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। কে পাশ করেছেন, কে ফেল করেছেন, তা-ও জানতে চান ওই আরটিআই কর্মী। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এভাবে দেওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে, ওই বছরেই স্নাতক হন নরেন্দ্র মোদিও।

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি মামলা, রায় স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি সংক্রান্ত মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রধানমন্ত্রীর বিএ ডিগ্রি নিয়ে মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার (সিআইসি) আগেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাচেলর ডিগ্রি (বিএ ডিগ্রি) প্রকাশ করার জন্য। সিআইসি’র সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে পালটা পিটিশন দাখিল করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এই মামলায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী খোদ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
এর আগে গত মাসে এই মামলার শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র কারও কৌতূহল মেটানো তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনের লক্ষ্য নয়। আরটিআই আইনের ধারা অনুসারে, তথ্য জানানোই এই আইনের উদ্দেশ্য হলেও কারও ব্যক্তিগত কৌতূহল নিবৃত্তি এই আইনের উদ্দেশ্য নয়। তবে এ দিন অবশ্য তিনি বলেছেন, আদালতকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সংক্রান্ত নথি দেখাতে প্রস্তুত।
কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট তার রায়দান স্থগিত রেখেছে। এ দিন শুনানি শেষে বিচারপতি শচীন দত্ত বলেন, ‘যুক্তি শোনা হয়েছে। রায় স্থগিত রাখা হল।’
আসলে তথ্য জানার অধিকার (রাইট টু ইনফর্মেশন অ্যাক্ট) আইনে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইসি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পালটা পিটিশন দাখিল করে মেহতা জানান, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের ওই নির্দেশ বাতিল করা উচিত। বৃহস্পতিবারের শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি শচীন দত্ত। এ দিন অবশ্য দিল্লি হাইকোর্টকে সলিসিটর জেনারেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির বিষয়ে আদালতের কাছে পড়ুয়াদের নথি দেখাতে রাজি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মোদির ডিগ্রি বিতর্ককে কেন্দ্র করে এই মামলা দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে হাইকোর্টে। নীরজ কুমার নামে এক আরটিআই কর্মী প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চান। ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব পড়ুয়ার নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। কে পাশ করেছেন, কে ফেল করেছেন, তা-ও জানতে চান ওই আরটিআই কর্মী। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এভাবে দেওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে, ওই বছরেই স্নাতক হন নরেন্দ্র মোদিও।