২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গবেষণা: করোনায় বিশ্বের ১৫ লক্ষ শিশু এতিম

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার
  • / 1

পুবের কলম প্রতিবেদন: করোনা মহামারিতে বিশ্বের কমপক্ষে ১৫ লক্ষ শিশু তাদের ‘প্রাইমারি’ অথবা ‘সেকেন্ডারি’ অভিভাবককে হারিয়েছে। তারা হয়তো পিতামাতাকে হারিয়েছে, দেখাশোনা করতেন এমন দাদা-দাদীকে হারিয়েছে অথবা তাদের সঙ্গে বসবাস করতেন এমন অভিভাবকদের হারিয়েছে। ব্রিটিশ বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন ল্যানসেটে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। মহামারিতে কিভাবে শিশুরা এতিম হয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এতে। একই সঙ্গে শিশুদের ভবিষ্যত সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এতিম অবস্থায় শিশুদের জীবনধারণের ন্যূনতম সম্বল বলতে আর কিছু নেই।
গত বছরের ১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত ২১টি দেশের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। এতে যেসব শিশু করোনা ভাইরাসের কারণে একেবারে এতিম হয়ে গেছে, আইনগত অভিভাবক হারিয়েছে অথবা যাদের অভিভাবকত্বে তারা বসবাস করত তাদেরকে হারিয়েছে, সেসব শিশুকে ধরা হয়েছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউসের অর্থায়নে এই গবেষণা চলে।

এরপর ‘কোভিড-১০-অ্যাসোসিয়েটেড ডেথস’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। কোভিড-১০ এবং লকডাউনের মতো পরোক্ষ কারণগুলোতে যেসব মৃত্যু ঘটেছে সেগুলো এতে ধরা হয়েছে।
এই গবেষণায় দেখার চেষ্টা করা হয়েছে যে, শিশু বা তরুণদের ওপর কিভাবে মানসিক ক্ষত সৃষ্টি করছে করোনা মহামারি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউসের পরিচালক নোরা ডি ভোলকাউ বলেছেন, বিশ্বজুড়ে পরিবারগুলোর ওপর কিভাবে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে করোনা মহামারি। বলা হচ্ছে, অভিভাবককে হারিয়ে একটি শিশু যে মানসিক চাপের শিকার হয়, তা হতে পারে বিপর্যয়কর। এক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসা উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, করোনা সংক্রান্ত মৃত্যুতে কমপক্ষে ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার শিশু তাদের পিতামাতা বা ‘কাস্টডিয়াল প্যারেন্ট’ কে হারিয়েছে। এর মধ্যে ১০ লক্ষ ৪২ হাজার শিশু হয়তো পিতাকে, না হয় মাতাকে, অথবা উভয়কেই হারিয়েছে। তবে বেশির ভাগই পিতামাতার মধ্যে একজনকে হারিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গবেষণা: করোনায় বিশ্বের ১৫ লক্ষ শিশু এতিম

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদন: করোনা মহামারিতে বিশ্বের কমপক্ষে ১৫ লক্ষ শিশু তাদের ‘প্রাইমারি’ অথবা ‘সেকেন্ডারি’ অভিভাবককে হারিয়েছে। তারা হয়তো পিতামাতাকে হারিয়েছে, দেখাশোনা করতেন এমন দাদা-দাদীকে হারিয়েছে অথবা তাদের সঙ্গে বসবাস করতেন এমন অভিভাবকদের হারিয়েছে। ব্রিটিশ বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন ল্যানসেটে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। মহামারিতে কিভাবে শিশুরা এতিম হয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এতে। একই সঙ্গে শিশুদের ভবিষ্যত সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এতিম অবস্থায় শিশুদের জীবনধারণের ন্যূনতম সম্বল বলতে আর কিছু নেই।
গত বছরের ১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত ২১টি দেশের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। এতে যেসব শিশু করোনা ভাইরাসের কারণে একেবারে এতিম হয়ে গেছে, আইনগত অভিভাবক হারিয়েছে অথবা যাদের অভিভাবকত্বে তারা বসবাস করত তাদেরকে হারিয়েছে, সেসব শিশুকে ধরা হয়েছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউসের অর্থায়নে এই গবেষণা চলে।

এরপর ‘কোভিড-১০-অ্যাসোসিয়েটেড ডেথস’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। কোভিড-১০ এবং লকডাউনের মতো পরোক্ষ কারণগুলোতে যেসব মৃত্যু ঘটেছে সেগুলো এতে ধরা হয়েছে।
এই গবেষণায় দেখার চেষ্টা করা হয়েছে যে, শিশু বা তরুণদের ওপর কিভাবে মানসিক ক্ষত সৃষ্টি করছে করোনা মহামারি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউসের পরিচালক নোরা ডি ভোলকাউ বলেছেন, বিশ্বজুড়ে পরিবারগুলোর ওপর কিভাবে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে করোনা মহামারি। বলা হচ্ছে, অভিভাবককে হারিয়ে একটি শিশু যে মানসিক চাপের শিকার হয়, তা হতে পারে বিপর্যয়কর। এক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসা উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, করোনা সংক্রান্ত মৃত্যুতে কমপক্ষে ১১ লক্ষ ৩৪ হাজার শিশু তাদের পিতামাতা বা ‘কাস্টডিয়াল প্যারেন্ট’ কে হারিয়েছে। এর মধ্যে ১০ লক্ষ ৪২ হাজার শিশু হয়তো পিতাকে, না হয় মাতাকে, অথবা উভয়কেই হারিয়েছে। তবে বেশির ভাগই পিতামাতার মধ্যে একজনকে হারিয়েছে।