১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্রাণ দিতে এসে হেনস্থার শিকার সিদ্দিকুল্লা চোধুরী, মন্ত্রীর পাইলটকারে হামলা, গাড়ি থেকে ত্রাণের সামগ্রী লুট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২১, শুক্রবার
  • / 0

পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাটঃ সন্দেশখালি এলাকায় ইয়াস বিপর্যস্ত মানুষের ত্রাণ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ  সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে তিনি সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার সরবেড়িয়া পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ত্রাণ বিতরণের জন্য হাজির হন। সে সময় অতিরিক্ত জনসমাগমে বিশৃঙ্খলা অবস্থা তৈরি হয়। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কর্মীদের  অভিযোগ এলাকার কিছু দুষ্কৃতী ত্রাণের গাড়ি থেকে মালপত্র লুট করে এবং বিক্ষোভ দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কয়েকজন কর্মীকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় এবং মন্ত্রীর পাইলট কারের উপর চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় প্রশাসন এই অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানায়। পুলিশ জানিয়েছে,   ত্রাণ সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত মানুষজন হাজির হওয়ায় সময়িক বিশৃঙ্খলা অবস্থা তৈরি হয় এবং ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি হয়। অনেকেই ত্রাণ না পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য বিক্ষোভ করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে অবস্থা স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, সরবেড়িয়া আগারআটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ শাহজাহান, স্থানীয় তৃণমূল নেতা শফিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের দাবি দলের একজন মন্ত্রী হিসেবে তিনি এলাকায় ত্রাণ নিয়ে আসলেও সে খবর তাদের কাছে ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। যা কিছু হয়েছে ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষের চাহিদা না পূরণের জন্য।  জানা গেছে সেখানে ত্রাণ নিতে উপস্থিত হয় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ কিন্তু সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে মাত্র ৩০০ জনের মত ত্রাণ নিয়ে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েই গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে  দলীয় নেতা বা কর্মীরা কোনভাবেই যুক্ত নয়। যদিও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবি করা হয়েছে। কারণ এই এলাকায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জমিয়ত কর্মীদের সঙ্গে মাওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সম্পর্ক রয়েছে  বলে সংগঠনের তরফ এ দাবি করা হয়েছে।

গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, এখানকার নেতারা পরিকল্পনা করে আমাকে হেনস্থা করেছেন।  ত্রাণ লুট করে নিয়েছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক থেকে সন্দেশখালি ব্লক সভাপতি। এই নিয়ে দলের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাসকে কে বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ ছিল না যার কারণে দুর্গতদের ক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ত্রাণ দিতে এসে হেনস্থার শিকার সিদ্দিকুল্লা চোধুরী, মন্ত্রীর পাইলটকারে হামলা, গাড়ি থেকে ত্রাণের সামগ্রী লুট

আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাটঃ সন্দেশখালি এলাকায় ইয়াস বিপর্যস্ত মানুষের ত্রাণ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ  সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে তিনি সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার সরবেড়িয়া পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ত্রাণ বিতরণের জন্য হাজির হন। সে সময় অতিরিক্ত জনসমাগমে বিশৃঙ্খলা অবস্থা তৈরি হয়। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কর্মীদের  অভিযোগ এলাকার কিছু দুষ্কৃতী ত্রাণের গাড়ি থেকে মালপত্র লুট করে এবং বিক্ষোভ দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কয়েকজন কর্মীকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় এবং মন্ত্রীর পাইলট কারের উপর চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় প্রশাসন এই অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানায়। পুলিশ জানিয়েছে,   ত্রাণ সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত মানুষজন হাজির হওয়ায় সময়িক বিশৃঙ্খলা অবস্থা তৈরি হয় এবং ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি হয়। অনেকেই ত্রাণ না পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য বিক্ষোভ করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে অবস্থা স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, সরবেড়িয়া আগারআটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ শাহজাহান, স্থানীয় তৃণমূল নেতা শফিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের দাবি দলের একজন মন্ত্রী হিসেবে তিনি এলাকায় ত্রাণ নিয়ে আসলেও সে খবর তাদের কাছে ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। যা কিছু হয়েছে ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষের চাহিদা না পূরণের জন্য।  জানা গেছে সেখানে ত্রাণ নিতে উপস্থিত হয় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ কিন্তু সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে মাত্র ৩০০ জনের মত ত্রাণ নিয়ে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েই গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে  দলীয় নেতা বা কর্মীরা কোনভাবেই যুক্ত নয়। যদিও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবি করা হয়েছে। কারণ এই এলাকায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জমিয়ত কর্মীদের সঙ্গে মাওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সম্পর্ক রয়েছে  বলে সংগঠনের তরফ এ দাবি করা হয়েছে।

গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, এখানকার নেতারা পরিকল্পনা করে আমাকে হেনস্থা করেছেন।  ত্রাণ লুট করে নিয়েছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক থেকে সন্দেশখালি ব্লক সভাপতি। এই নিয়ে দলের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাসকে কে বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ ছিল না যার কারণে দুর্গতদের ক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয়েছে।