২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রযুক্তির দাস

Juifa Parveen
  • আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার
  • / 1

শায়খ হাসান আলীঃ  আমরা বহুমুখিতার যুগে বাস করি। এটা আবার মানুষকে অসম্মান বা অবমূল্যায়ন করার যুগও। আমরা অন্যের দোষ ধরার যুগেও বাস করছি। এটা তো সেই যুগ, যেখানে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগের মাধ্যমে অন্যকে পচায়। নিজের ভাইবোনের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং পাশাপাশি নিজের মুখটাকেও দোজখের আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য এক নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিন!
——————————————————————

ব্লগে কোন পোস্ট ছাড়ার আগে এটা পুরোপুরি নিশ্চিত হোন, আপনি যা বলতে চাইছেন, তার জন্য যেন পরে পস্তাতে না হয়। জ্ঞানীরা বলেন, ‘মুখ থেকে বের করার আগে নিজের কথাটাকে যাচাই করে নাও’। মাঝে মাঝে জবাব দেওয়ার চেয়ে চুপ করে থাকাটা ভালো। থামুন। যাচাই করুন। তারপর বলুন, যদি জবাব দেওয়াটা একান্ত দরকারি হয়।
—————————————————————————————

যখন কেউ আপনাকে কষ্ট দিতে চায়, তখন বিষয়টি পুরোপুরি আপনার নিজস্ব ব্যাপার হয়ে যায়, মানে আপনি ব্যাপারটাকে কিভাবে নিচ্ছেন। আপনি যদি আঘাতটাকে মনের মাঝে পোষেণ, মনে ধারণ করেন, তাহলে অবসন্ন হয়ে যাবেন। কিন্তু যারা আপনাকে ভালোবাসে, পছন্দ করে, তাদের দিকে মনোনিবেশ করে আঘাতটাকে গা ঝাড়া দিয়ে উড়িয়ে দেন; তাহলে আপনি সমুন্নত ও ইতিবাচক থাকতে পারবেন। কোন পথে যাবেন, সেটা আপনার ব্যাপার!
———————————————————————————

শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ্পাক (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) এই অজুহাত কখনই গ্রহণ করবেন না ‘হে আল্লাহ্! এ কাজ তো সবাই করত’। আঘাত পেয়ে মনে কষ্ট অনুভব করার পরিবর্তে যদি আপনি নিজেই বোকা বনে যান; তাহলে নিজেকে ধিক্কার দিয়ে কোনও সহৃদয় ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির কাছে ছুটে যান। মহানবী সা. বলে গেছেন,  ‘কেয়ামতের আগে এমন একটা সময় আসবে, যখন বিশ্বাস করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে যাবে’ (সহিহ মুসলিম অবলম্বনে)। এই হাদিসটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনিও বিশ্বাসীদের একজন! আল্লাহু আকবার!
—————————————————————————————

যেসব শিক্ষার্থী প্রতিদিন মসজিদ বা মাদ্রাসায় যায়, তাদের প্রতি আমাদের খুবই যত্নবান হওয়া উচিত। কারণ তাদের মাঝেই রয়েছে ভবিষ্যতের চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কনসালটেন্ট, জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব, ম্যানেজার, গবেষক, সরকারি কর্মকর্তা… কে জানে! তাদের মধ্য কেউ একদিন দেশের প্রেসিডেন্টও হয়ে যেতে পারে!
——————————————————————————————

জ্ঞানী তো তারাই, যারা প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, কিন্তু হৃদয়ে জায়গা দেয় না……। আর বোকা তো তারাই, প্রযুক্তি যাদের হৃদয়ে থাকে, হাতে থাকে না। অর্থাৎ যারা নিজেরাই প্রযুক্তির দাস হয়ে গেছেন! মানুষ যদি নিজ থেকে না পাল্টায়, কোনও কিছুই তাকে পাল্টাতে পারে না…। সে যদি কোন কিছু করতে চায়, তাইলে এমনিতেই করে। কিন্তু যদি না করে, খেয়াল করলেই টের পাবেন, নিজেকে পাল্টানোর চাবিকাঠি তো থাকে মনেরভেতর!
————————————————————————————

Tag :

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রযুক্তির দাস

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার

শায়খ হাসান আলীঃ  আমরা বহুমুখিতার যুগে বাস করি। এটা আবার মানুষকে অসম্মান বা অবমূল্যায়ন করার যুগও। আমরা অন্যের দোষ ধরার যুগেও বাস করছি। এটা তো সেই যুগ, যেখানে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগের মাধ্যমে অন্যকে পচায়। নিজের ভাইবোনের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং পাশাপাশি নিজের মুখটাকেও দোজখের আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য এক নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিন!
——————————————————————

ব্লগে কোন পোস্ট ছাড়ার আগে এটা পুরোপুরি নিশ্চিত হোন, আপনি যা বলতে চাইছেন, তার জন্য যেন পরে পস্তাতে না হয়। জ্ঞানীরা বলেন, ‘মুখ থেকে বের করার আগে নিজের কথাটাকে যাচাই করে নাও’। মাঝে মাঝে জবাব দেওয়ার চেয়ে চুপ করে থাকাটা ভালো। থামুন। যাচাই করুন। তারপর বলুন, যদি জবাব দেওয়াটা একান্ত দরকারি হয়।
—————————————————————————————

যখন কেউ আপনাকে কষ্ট দিতে চায়, তখন বিষয়টি পুরোপুরি আপনার নিজস্ব ব্যাপার হয়ে যায়, মানে আপনি ব্যাপারটাকে কিভাবে নিচ্ছেন। আপনি যদি আঘাতটাকে মনের মাঝে পোষেণ, মনে ধারণ করেন, তাহলে অবসন্ন হয়ে যাবেন। কিন্তু যারা আপনাকে ভালোবাসে, পছন্দ করে, তাদের দিকে মনোনিবেশ করে আঘাতটাকে গা ঝাড়া দিয়ে উড়িয়ে দেন; তাহলে আপনি সমুন্নত ও ইতিবাচক থাকতে পারবেন। কোন পথে যাবেন, সেটা আপনার ব্যাপার!
———————————————————————————

শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ্পাক (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) এই অজুহাত কখনই গ্রহণ করবেন না ‘হে আল্লাহ্! এ কাজ তো সবাই করত’। আঘাত পেয়ে মনে কষ্ট অনুভব করার পরিবর্তে যদি আপনি নিজেই বোকা বনে যান; তাহলে নিজেকে ধিক্কার দিয়ে কোনও সহৃদয় ও বিশ্বস্ত ব্যক্তির কাছে ছুটে যান। মহানবী সা. বলে গেছেন,  ‘কেয়ামতের আগে এমন একটা সময় আসবে, যখন বিশ্বাস করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে যাবে’ (সহিহ মুসলিম অবলম্বনে)। এই হাদিসটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনিও বিশ্বাসীদের একজন! আল্লাহু আকবার!
—————————————————————————————

যেসব শিক্ষার্থী প্রতিদিন মসজিদ বা মাদ্রাসায় যায়, তাদের প্রতি আমাদের খুবই যত্নবান হওয়া উচিত। কারণ তাদের মাঝেই রয়েছে ভবিষ্যতের চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কনসালটেন্ট, জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব, ম্যানেজার, গবেষক, সরকারি কর্মকর্তা… কে জানে! তাদের মধ্য কেউ একদিন দেশের প্রেসিডেন্টও হয়ে যেতে পারে!
——————————————————————————————

জ্ঞানী তো তারাই, যারা প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, কিন্তু হৃদয়ে জায়গা দেয় না……। আর বোকা তো তারাই, প্রযুক্তি যাদের হৃদয়ে থাকে, হাতে থাকে না। অর্থাৎ যারা নিজেরাই প্রযুক্তির দাস হয়ে গেছেন! মানুষ যদি নিজ থেকে না পাল্টায়, কোনও কিছুই তাকে পাল্টাতে পারে না…। সে যদি কোন কিছু করতে চায়, তাইলে এমনিতেই করে। কিন্তু যদি না করে, খেয়াল করলেই টের পাবেন, নিজেকে পাল্টানোর চাবিকাঠি তো থাকে মনেরভেতর!
————————————————————————————