১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে প্রথম, ‘টিকাকরণ সম্পূর্ণ’ গ্রাম হিসেবে নজির গড়ল গোয়ার সুরলা গ্রাম

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, সোমবার
  • / 1

পুবের কলম, ওয়েবডস্ক: দেশের মধ্যে প্রথম টিকাকরণ সম্পূর্ণ রাজ্য হিসেবে নজির গড়ল গোয়ার সাত্তারি উপজেলার সুরলা গ্রাম। এই গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক।

ভালপই কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডাঃ শ্যাম কানকঙ্কর জানিয়েছেন, তাদের টিম প্রতিটি গ্রামে ঘুরে সমীক্ষা চালায়। গ্রাম থেকে পাহাড় কোনও দিকেই সার্ভে চালাতে বাকি রাখেননি তারা। টিকা নিতে যারা বাকি ছিলেন তাদের টিকার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝিয়ে ক্যাম্পমুখী করা হয়। রবিবার সম্পূর্ণ টিকাদান সম্পূর্ণ হয়।

শ্যাম কানকঙ্কর আরও জানান,  প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ার দরুণ গ্রামে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছতে পারেনি। ফলে এখানকার স্থানীয়দের কো-উইন অ্যাপে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই কারণে আমাদের প্রতিনিধিরা প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে এলাকা সমীক্ষা চালিয়ে অফ লাইনেই টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। রবিবার শেষ পর্যায়ে ২১৮ জন স্থানীয় মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে এই টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, সূর্যকান্ত গাওয়াস জানিয়েছেন,  গ্রামে মোট ৪০০ জন বাসিন্দা রয়েছে। তার মধ্যে ৩০০ জন টিকা নেওয়ার উপযুক্ত ছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে রাজ্য সরকারের ‘টিকা উৎসব’ চলাকালীন অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের গ্রামকে পুরোপুরি টিকা দেওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে তার জন্য আমরা রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রেনের কাছে কৃতজ্ঞ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেশে প্রথম, ‘টিকাকরণ সম্পূর্ণ’ গ্রাম হিসেবে নজির গড়ল গোয়ার সুরলা গ্রাম

আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডস্ক: দেশের মধ্যে প্রথম টিকাকরণ সম্পূর্ণ রাজ্য হিসেবে নজির গড়ল গোয়ার সাত্তারি উপজেলার সুরলা গ্রাম। এই গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক।

ভালপই কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডাঃ শ্যাম কানকঙ্কর জানিয়েছেন, তাদের টিম প্রতিটি গ্রামে ঘুরে সমীক্ষা চালায়। গ্রাম থেকে পাহাড় কোনও দিকেই সার্ভে চালাতে বাকি রাখেননি তারা। টিকা নিতে যারা বাকি ছিলেন তাদের টিকার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝিয়ে ক্যাম্পমুখী করা হয়। রবিবার সম্পূর্ণ টিকাদান সম্পূর্ণ হয়।

শ্যাম কানকঙ্কর আরও জানান,  প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ার দরুণ গ্রামে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছতে পারেনি। ফলে এখানকার স্থানীয়দের কো-উইন অ্যাপে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই কারণে আমাদের প্রতিনিধিরা প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে এলাকা সমীক্ষা চালিয়ে অফ লাইনেই টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। রবিবার শেষ পর্যায়ে ২১৮ জন স্থানীয় মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে এই টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, সূর্যকান্ত গাওয়াস জানিয়েছেন,  গ্রামে মোট ৪০০ জন বাসিন্দা রয়েছে। তার মধ্যে ৩০০ জন টিকা নেওয়ার উপযুক্ত ছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে রাজ্য সরকারের ‘টিকা উৎসব’ চলাকালীন অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের গ্রামকে পুরোপুরি টিকা দেওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে তার জন্য আমরা রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রেনের কাছে কৃতজ্ঞ।