রূপ্রশী প্রকল্পের পুরো টাকা হাতে পাননি অভিযুক্তরা, শোকজ তদন্তকারী অফিসারকে
- আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২১, রবিবার
- / 1
দেবশ্রী মজুমদার, নলহাটি-১৮ জুলাই : রূপ্রশী প্রকল্পের পুরো টাকা হাতে পাননি অভিযুক্তরা। নলহাটি দুই ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী শোকজ করেন রূপশ্রী প্রকল্পের তদন্তকারী অফিসারকে, বলে সূত্রের খবর। রবিবার নলহাটির ২ ব্লকের নওয়াপড়া পঞ্চায়েতের তিলোরা গ্রামের দুই উপভোক্তা আশা মাল ও গৌরী মালেল অভিভাবকদের সাথে কথা বলে বোঝা গেল একটা র্যাকেটের শিকার তাঁরা। আশা মালের বাবা পাগল মাল এবং গৌরী মালের বাবা উত্তম মাল জানান, নওয়াপাড়ার বাসিন্দা পেশায় ধানের ব্যবসায়ী আবুল সেখ তাদের কাছে নথি নেন মেয়েদের। তারা অভাবী মানুষ। তাঁদের বলা হয় অর্ধেক টাকা দিলে অর্ধেক সাড়ে বারো হাজার তাঁরা পাবেন। সেই মোতাবেক তাঁরা নথি তাঁদের হাতে তুলে দেন। তাঁরা অর্ধেক টাকা পেয়েছেন। এখন কি করে বাকি টাকা ফেরত দেবেন? সেই চিন্তায় তাঁদের রাতের ঘুম চলে গেছে। অভিযুক্ত আবুল সেখ বলেন, আমাকেস ফাঁসানো হচ্ছে। এব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
আবুল সেখ দলের কেউ নন।রূপশ্রী প্রকল্প দেখে ব্লকের অফিসাররা তদন্ত করে নাম পাঠায় নবান্নে। তারপর টাকা আসে উপভোক্তাদের কাছে। এখানে পঞ্চায়েতের কিছু করার নেই। এরপর নলহাটি দুই বিডিও হুমায়ুন চৌধুরীকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, উপভোক্তাদের ইনকাম সার্টিফিকেট পঞ্চায়েতকে দিতে হয়। ওটাই প্রাথমিক নথি। সেখানে বিবাহিত বা অবিবাহিত ঘর থাকে। সেটা নিশ্চিত করতে হয় প্রধানকে। তার ভিত্তিতে অফিসার কাগজ তৈরী করেন। তদন্ত অফিসার যখন যান এলাকায় তখন কেউ একজন তাঁদের বলেন না উপভোক্তারা বিবাহিত। বরং সাজানো লোক থাকে। এই ঘটনায় তা প্রমাণিত। এমদাদুল হক বলেন, ইনকাম সার্টিফিকেটের একটা ঘর থাকে। বিডিও সাহেব বলেন, কেন আমি বিবাহিত কলাম উল্লেখ করি না। আমার দেওয়ার কথা ইনকাম সার্টিফিকেট। আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় কে বিবাহিত বা কে অবিবাহিত।
উল্লেখ্য, মাসুদ হোসেন নামে এক এলাকাবাসী আর টি আই করেন। তার ভিত্তিতে এই কেলেঙ্কারি বেরিয়ে পড়ে। বিডিও ৮ জন মহিলার নামে নলহাটি থানাতে রূপ্রশী প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন । সেই মর্মে নলহাটি একটি মামলা রুজু করেন। সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। জেলা শাসক বিধান রায় ঘটনার একটি প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেন।