ভবানীপুর সহ রাজ্যের ৭ আসনে দ্রুত নির্বাচনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর
- আপডেট : ২৩ জুন ২০২১, বুধবার
- / 0
পুবের কলম প্রতিবেদক: ভবানীপুর সহ রাজ্যের সাত বিধানসভা আসনের নির্বাচন ও উপনির্বাচন দ্রুত সেরে ফেলার জন্য বুধবার নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অঙুলিহেলনে চলার অভিযোগ উঠেছে তথাকথিত দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তা নিয়েও এদিন খোঁচা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান।
শ্লেষাত্মক কণ্ঠে তিনি বলেছেন, ‘আমি তো শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত না পেলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অনুমতি দেবে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আমাদের উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন।’
গত ৫ মে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে। অর্থাৎ ৫ নভেম্বরের মধ্যে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আশঙ্কা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসতে না পারেন তার জন্য কলকাঠি নাড়তে পারে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। আর রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি রাখতে করোনার অজুহাত দিয়ে নির্ধারিত সময়ে ভবানীপুর, খড়দা, দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা, জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জের উপনির্বাচন ও নির্বাচন নাও করাতে পারে নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে করোনার কারণে গত বিধানসভা ভোটের সময়ে জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ভোটের রাস্তায় হাঁটেনি কমিশন। দিনহাটা ও শান্তিপুর থেকে নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। খড়দা আসনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী ভোটের ফলাফলের আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ভবানীপুর থেকে নির্বাচিত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ওই আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জিতে আসার পথ প্রশস্ত করতে কিছুদিন আগে ইস্তফা দিয়েছেন। আর গোসাবা থেকে নির্বাচিত বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর গত সপ্তাহে মারা গিয়েছেন।
সাত আসনের নির্বাচন ও উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন টালবাহানা করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এদিন অতি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রাজ্যে যখন করোনা সংক্রমণ তুঙ্গে ছিল, তখন নির্বাচন করাল নির্বাচন কমিশন। আট দফার নির্বাচনের সময়ে বারবার বলেছি, একসঙ্গে ভোট করে দেওয়া হোক। একদিনে নির্বাচন হলে কোনও সমস্যা হতো না। প্রথম দফার নির্বাচনে সংক্রমণের হার ছিল ২ থেকে ৩ শতাংশ। তা বাড়তে বাড়তে পঞ্চম দফা থেকে অষ্টম দফায় ৩৩ শতাংশে চলে গিয়েছিল। সেই ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এখন কেন উপনির্বাচনটা করাচ্ছে না? সাত দিনের সময় দিয়েই তো নির্বাচন করে ফেলা যায়। আমরা প্রস্তুত আছি। দশটা থেকে সাতটা প্রচারের সময় দেওয়া হোক। আমি তো শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত না পেলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অনুমতি দেবে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আমাদের উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন।”