১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে আরও সতর্ক থাকার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 0

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপূর্ব ভারতে ৬০টি জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানানোর পর করোনার তৃতীয় ঢেউ রোখার আগাম প্রস্তুতিতে মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টিকাকরণ, জমায়েতে করোনাবিধি বাধ্যতামূলক করার মতো বিষয়ে এদিন আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি দিয়েছেন সংক্রমণ প্রতিরোধে একগুচ্ছ দাওয়াই। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পর্যটনস্থলে ভিড় চিন্তার বিষয়। আমাদের তৃতীয় ঢেউ রুখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আরও বদল আনতে হবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই খাতে ২৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজে অনুমোদন দিয়েছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো এই অর্থ থেকে সাহায্য নিতে পারবে।‘ এদিকে, গবেষক-চিকিৎসকদের দাবির সমর্থনে এবার এগিয়ে আসল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। সোমবার তারা দাবি করেছে, দেশে তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। এই বার্তা দিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে সতর্ক করল এই চিকিৎসক সংগঠন। পাশাপাশি করোনাবিধি শিথিল হতেই একাধিক পর্যটনস্থলে পর্যটকদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব দেখা গিয়েছে। সেই বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও কিছু রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক। এই আবহে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউয়ের আগমনী বার্তা। করোনার তৃতীয় ঢেউ যে আসছে, সোমবার স্পষ্ট করে দিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু কয়েকটি হিল স্টেশন এবং পর্যটকস্থলে মানুষের বাঁধনছাড়া উল্লাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্র। সম্প্রতি মুসৌরির একটি ভিডিও দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

এদিন রীতিমতো প্রেস বিবৃতি জারি করে আইএমএ বলেছে, ‘গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি এবং অতিমারির ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যাবে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। কেউ তা  আটকাতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন ছবি উঠে এসেছে, দেখা যাচ্ছে,  কোভিডবিধি না মেনেই রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সে ব্যাপারে কোনও রকম সরকারি পদক্ষেপ নেই।’

তাদের পরামর্শ, ‘ঘুরতে যাওয়া, তীর্থযাত্রা, ধর্মীয় সমাবেশ— সবই জরুরি। কিন্তু এসবের জন্য আরও কয়েকটি মাস অপেক্ষা করাই যায়। টিকাকরণ ছাড়া জনসমাবেশে অনুমতি দেওয়া হলে, তা তৃতীয় ঢেউকে নিশ্চিত ভাবে ত্বরান্বিত করবে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই তা আছড়ে পড়বে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে আরও সতর্ক থাকার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপূর্ব ভারতে ৬০টি জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানানোর পর করোনার তৃতীয় ঢেউ রোখার আগাম প্রস্তুতিতে মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টিকাকরণ, জমায়েতে করোনাবিধি বাধ্যতামূলক করার মতো বিষয়ে এদিন আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি দিয়েছেন সংক্রমণ প্রতিরোধে একগুচ্ছ দাওয়াই। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পর্যটনস্থলে ভিড় চিন্তার বিষয়। আমাদের তৃতীয় ঢেউ রুখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আরও বদল আনতে হবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই খাতে ২৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজে অনুমোদন দিয়েছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো এই অর্থ থেকে সাহায্য নিতে পারবে।‘ এদিকে, গবেষক-চিকিৎসকদের দাবির সমর্থনে এবার এগিয়ে আসল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। সোমবার তারা দাবি করেছে, দেশে তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। এই বার্তা দিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে সতর্ক করল এই চিকিৎসক সংগঠন। পাশাপাশি করোনাবিধি শিথিল হতেই একাধিক পর্যটনস্থলে পর্যটকদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব দেখা গিয়েছে। সেই বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও কিছু রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক। এই আবহে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউয়ের আগমনী বার্তা। করোনার তৃতীয় ঢেউ যে আসছে, সোমবার স্পষ্ট করে দিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু কয়েকটি হিল স্টেশন এবং পর্যটকস্থলে মানুষের বাঁধনছাড়া উল্লাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্র। সম্প্রতি মুসৌরির একটি ভিডিও দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

এদিন রীতিমতো প্রেস বিবৃতি জারি করে আইএমএ বলেছে, ‘গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি এবং অতিমারির ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যাবে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। কেউ তা  আটকাতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন ছবি উঠে এসেছে, দেখা যাচ্ছে,  কোভিডবিধি না মেনেই রাস্তাঘাটে বেরিয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সে ব্যাপারে কোনও রকম সরকারি পদক্ষেপ নেই।’

তাদের পরামর্শ, ‘ঘুরতে যাওয়া, তীর্থযাত্রা, ধর্মীয় সমাবেশ— সবই জরুরি। কিন্তু এসবের জন্য আরও কয়েকটি মাস অপেক্ষা করাই যায়। টিকাকরণ ছাড়া জনসমাবেশে অনুমতি দেওয়া হলে, তা তৃতীয় ঢেউকে নিশ্চিত ভাবে ত্বরান্বিত করবে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই তা আছড়ে পড়বে।’