২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণছাঁটাইয়ের অধিকার নেই ট্রাম্পের: আমেরিকার কোর্ট

Sumana Puber Kalom
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
  • / 0

ওয়াশিংটন: সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেপথ্যে অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন ধবকুবের ইলন মাস্ক। কিন্তু বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকো আদালতের বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনকে হাজার হাজার কর্মীদের কাজ থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্তে সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দিলেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই ইলন মাস্কের নেতৃত্বে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামে একটি নয়া দফতর খোলার নির্দেশ দিয়েছিল। সরকারি খরচ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করার নিদান দিয়েছিল। ওই ডিপার্টমেন্টের অন্তর্গত আমেরিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতর বা অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকেই সরকারি কর্মীদের কাছে কাজের জবাবদিহি চেয়ে ইমেল গিয়েছিল। তাতে বলা হয়, এক সপ্তাহের কাজের হিসাব দু’দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে কর্মীদের। তা করতে না-পারলে ওই কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
ট্রাম্পের দফতরের এই নির্দেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন আমেরিকার প্রায় ২৩ লক্ষ সরকারি কর্মী। কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতরের ইমেল পাওয়ার পর আমেরিকার বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রধানেরাই কর্মীদের জানান, আপাতত ওই ইমেলের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর পর জানা যায়, আমেরিকার বিভিন্ন দফতর থেকে কয়েক হাজার শিক্ষানবিশ কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। যে-সমস্ত কর্মী চাকরির প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষে আছেন, তাঁরাই আমেরিকায় শিক্ষানবিশ হিসাবে বিবেচিত হন।
বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোর প্রাদেশিক আদালতের বিচারক উইলিয়াম আলসুপ বলেন, অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট কাউকে চাকরি দিতে পারে না। কারোর চাকরি কাড়তেও পারে না। তাদের সেই অধিকারই নেই। নিয়োগ এবং ছাঁটাইয়ের অধিকার রয়েছে কেবল সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতেই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ এবং ছাঁটাইয়ের বিষয়টি পুরোপুরি থাকবে প্রতিরক্ষা দফতরের হাতেই। অর্থাৎ অন্য কোনও দফতরের তরফে কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেওয়া যায় না। তবে আদালতের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে সরকারি কর্মচারীরা। অন্যদিকে, আদালতে ধাক্কা খেয়ে মুখ পুড়ল ট্রাম্প সরকারের।

 

রিপোর্টার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গণছাঁটাইয়ের অধিকার নেই ট্রাম্পের: আমেরিকার কোর্ট

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার

ওয়াশিংটন: সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেপথ্যে অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন ধবকুবের ইলন মাস্ক। কিন্তু বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকো আদালতের বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনকে হাজার হাজার কর্মীদের কাজ থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্তে সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দিলেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই ইলন মাস্কের নেতৃত্বে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামে একটি নয়া দফতর খোলার নির্দেশ দিয়েছিল। সরকারি খরচ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করার নিদান দিয়েছিল। ওই ডিপার্টমেন্টের অন্তর্গত আমেরিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতর বা অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকেই সরকারি কর্মীদের কাছে কাজের জবাবদিহি চেয়ে ইমেল গিয়েছিল। তাতে বলা হয়, এক সপ্তাহের কাজের হিসাব দু’দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে কর্মীদের। তা করতে না-পারলে ওই কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
ট্রাম্পের দফতরের এই নির্দেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন আমেরিকার প্রায় ২৩ লক্ষ সরকারি কর্মী। কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতরের ইমেল পাওয়ার পর আমেরিকার বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রধানেরাই কর্মীদের জানান, আপাতত ওই ইমেলের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর পর জানা যায়, আমেরিকার বিভিন্ন দফতর থেকে কয়েক হাজার শিক্ষানবিশ কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। যে-সমস্ত কর্মী চাকরির প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষে আছেন, তাঁরাই আমেরিকায় শিক্ষানবিশ হিসাবে বিবেচিত হন।
বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোর প্রাদেশিক আদালতের বিচারক উইলিয়াম আলসুপ বলেন, অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট কাউকে চাকরি দিতে পারে না। কারোর চাকরি কাড়তেও পারে না। তাদের সেই অধিকারই নেই। নিয়োগ এবং ছাঁটাইয়ের অধিকার রয়েছে কেবল সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতেই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ এবং ছাঁটাইয়ের বিষয়টি পুরোপুরি থাকবে প্রতিরক্ষা দফতরের হাতেই। অর্থাৎ অন্য কোনও দফতরের তরফে কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেওয়া যায় না। তবে আদালতের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে সরকারি কর্মচারীরা। অন্যদিকে, আদালতে ধাক্কা খেয়ে মুখ পুড়ল ট্রাম্প সরকারের।