২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মান্তরণ মামলা গেল ইডির হাতে, উদ্ধার ৩৩ এফিডেভিটের মধ্যে ৩২ জনই উচ্চশিক্ষিত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২১, শনিবার
  • / 1

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস-এর পর ধর্মান্তরণ মামলার দায়িত্ব পেল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লি থেকে ইসলামিক দাওয়া সেন্টারের মাওলানা মুহাম্মদ উমর গৌতম ও মুফতি জাহাঙ্গির কাসমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে জবরদস্তি ধর্মান্তরণের অভিযোগে। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনেও মামলা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ধৃত দু’জন রয়েছে পুলিশের হেফাজতেই। এবার তাদের সংস্থার আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখার জন্য ইডির হাতে মামলা তুলে দেওয়া হল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারের পর হন্যে হয়ে খুঁজছে আরও কারা এই ‘ধর্মান্তরণ চক্রের’সঙ্গে জড়িত রয়েছে। ইডির হেড কোয়ার্টার সরাসরি এই মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। দেশ ও বিদেশ থেকে এই সংস্থার কত টাকা এসেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
একটি সূত্র জানাচ্ছে, ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৭ পাতার ডকুমেন্টস হাসিল করতে সক্ষম হয়েছে এটিএস। ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে সব ডকুমেন্ট।
জানা যায়, এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ডকুমেন্টের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য এফিডেভিট। ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১২ জুন পর্যন্ত যে সমস্ত ডকুমেন্টস হাতে পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৩৩ জন অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে এফিডেভিটের মাধ্যমে। তাঁরা ইসলামিক দাওয়া সেন্টারে এসেছে কালেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্মে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হওয়ার জন্য।
জানা যাচ্ছে, এই ৩৩ জনকে কালেমা পাঠ করিয়েছেন মুফতি জাহাঙ্গির কাসমি। ৩৩ জনের মধ্যে ১৮ জন মহিলা ও ১৫ জন পুরুষ। আর অবাক করার বিষয় হচ্ছে ধর্মান্তরিত ৩৩ জনের মধ্যে ৩২ জনই হল উচ্চশিক্ষিত। মাত্র একজন রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাশ। ধর্মান্তরণের তালিকার মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, এমবিবিএস ডাক্তার, দিল্লি হাসপাতালের স্টাফ-নার্স, একজন এমসিএ, একজন পিএইচডি। ইসলামিক দাওয়া সেন্টার ‘কনভারসান ফর্মে’র সঙ্গে আলাদা এফিডেভিট দিয়েছে যেখানে লেখা আছে কোনও লোভ-লালসার বশবর্তী না হয়ে সম্পূর্ণ ভয়মুক্ত অবস্থা সজ্ঞানে ও স্বেচ্ছায় নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছি।

এই ৩৩ জনের মধ্যে রয়েছে দিল্লির ১৪ জন, উত্তরপ্রদেশের ৯ জন,বিহারের ৩ জন, মধ্যপ্রদেশের ২ জন। এছাড়াও গুজরাত, মহারাষ্টÉ, অসম, ঝাড়খণ্ড ও কেরলের একজন করে রয়েছে এই তালিকায়। গুজরাত থেকে রয়েছে একজন এমবিবিএস এবং উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের ব্যক্তি মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাশ। বাকি ৩২ জনই উচ্চশিক্ষিত গ্রুপের।

আর এক সূত্র জানাচ্ছে, ইডির পক্ষ থেকে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাকিস্তানের আইএসআই ছাড়াও বিদেশ থেকে অর্থ পেয়েছে উমর গৌতমের সংস্থা এমন অভিযোগ এবার খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, ৩৫ বছর আগে ধর্ম পরিবর্তন করে উমর গৌতম। পরে দিল্লির জামিয়ানাগরে ইসলামিক দাওয়া সেন্টার তৈরি করে নও মুসলিমদের ধর্মীয় শিক্ষা ও আইনগত জটিলতায় মদদ দেওয়ার জন্য। নও মুসলিমদের মদদগার এখন নিজেই ইউপি পুলিশের জালে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ধর্মান্তরণ মামলা গেল ইডির হাতে, উদ্ধার ৩৩ এফিডেভিটের মধ্যে ৩২ জনই উচ্চশিক্ষিত

আপডেট : ২৬ জুন ২০২১, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস-এর পর ধর্মান্তরণ মামলার দায়িত্ব পেল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লি থেকে ইসলামিক দাওয়া সেন্টারের মাওলানা মুহাম্মদ উমর গৌতম ও মুফতি জাহাঙ্গির কাসমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে জবরদস্তি ধর্মান্তরণের অভিযোগে। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনেও মামলা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ধৃত দু’জন রয়েছে পুলিশের হেফাজতেই। এবার তাদের সংস্থার আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখার জন্য ইডির হাতে মামলা তুলে দেওয়া হল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারের পর হন্যে হয়ে খুঁজছে আরও কারা এই ‘ধর্মান্তরণ চক্রের’সঙ্গে জড়িত রয়েছে। ইডির হেড কোয়ার্টার সরাসরি এই মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। দেশ ও বিদেশ থেকে এই সংস্থার কত টাকা এসেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
একটি সূত্র জানাচ্ছে, ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৭ পাতার ডকুমেন্টস হাসিল করতে সক্ষম হয়েছে এটিএস। ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে সব ডকুমেন্ট।
জানা যায়, এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ডকুমেন্টের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য এফিডেভিট। ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১২ জুন পর্যন্ত যে সমস্ত ডকুমেন্টস হাতে পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৩৩ জন অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে এফিডেভিটের মাধ্যমে। তাঁরা ইসলামিক দাওয়া সেন্টারে এসেছে কালেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্মে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হওয়ার জন্য।
জানা যাচ্ছে, এই ৩৩ জনকে কালেমা পাঠ করিয়েছেন মুফতি জাহাঙ্গির কাসমি। ৩৩ জনের মধ্যে ১৮ জন মহিলা ও ১৫ জন পুরুষ। আর অবাক করার বিষয় হচ্ছে ধর্মান্তরিত ৩৩ জনের মধ্যে ৩২ জনই হল উচ্চশিক্ষিত। মাত্র একজন রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাশ। ধর্মান্তরণের তালিকার মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, এমবিবিএস ডাক্তার, দিল্লি হাসপাতালের স্টাফ-নার্স, একজন এমসিএ, একজন পিএইচডি। ইসলামিক দাওয়া সেন্টার ‘কনভারসান ফর্মে’র সঙ্গে আলাদা এফিডেভিট দিয়েছে যেখানে লেখা আছে কোনও লোভ-লালসার বশবর্তী না হয়ে সম্পূর্ণ ভয়মুক্ত অবস্থা সজ্ঞানে ও স্বেচ্ছায় নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছি।

এই ৩৩ জনের মধ্যে রয়েছে দিল্লির ১৪ জন, উত্তরপ্রদেশের ৯ জন,বিহারের ৩ জন, মধ্যপ্রদেশের ২ জন। এছাড়াও গুজরাত, মহারাষ্টÉ, অসম, ঝাড়খণ্ড ও কেরলের একজন করে রয়েছে এই তালিকায়। গুজরাত থেকে রয়েছে একজন এমবিবিএস এবং উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের ব্যক্তি মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাশ। বাকি ৩২ জনই উচ্চশিক্ষিত গ্রুপের।

আর এক সূত্র জানাচ্ছে, ইডির পক্ষ থেকে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাকিস্তানের আইএসআই ছাড়াও বিদেশ থেকে অর্থ পেয়েছে উমর গৌতমের সংস্থা এমন অভিযোগ এবার খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, ৩৫ বছর আগে ধর্ম পরিবর্তন করে উমর গৌতম। পরে দিল্লির জামিয়ানাগরে ইসলামিক দাওয়া সেন্টার তৈরি করে নও মুসলিমদের ধর্মীয় শিক্ষা ও আইনগত জটিলতায় মদদ দেওয়ার জন্য। নও মুসলিমদের মদদগার এখন নিজেই ইউপি পুলিশের জালে।